মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয় ভূত চতুর্দশী (Bhoot Chaturdashi 2023)। এই তিথিকে আবার অনেকে নরক চতুর্দশী বলেও জানেন। দীপাবলির (Kali Puja 2023) একদিন আগে ও ধনতেরসের একদিন পর ভূত চতুর্দশী পালিত হয়। এই তিথিটি ছোট দীপাবলি, রূপ চতুর্দশী বা নরকা পুজো নামেও পরিচিত। এদিন মৃত্যুর দেবতা যম ও কৃষ্ণের পুজো করা হয়। অকাল মৃত্যু থেকে বাঁচতে নরক চতুর্দশীতে পুজো করা হয়। অনেকে এই দিনটিকে পশ্চিমী হ্যালোউইনের ভারতীয় সংস্করণ হিসেবেও দেখেন।
কৃষ্ণ-সত্যভামার হাতে নরকাসুর-বধ কাহিনী
ভূত চতুর্দশী বা নরক চতুর্দশীতে মুক্তিলাভের আশায় পুজো করা হয়। এদিন সূর্যোদয়ের আগে উঠে স্নান করার প্রথা রয়েছে। মনে করা হয় এর প্রভাবে যমলোকের দর্শন করতে হয় না। বিষ্ণু পুরাণ ও শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণ অনুযায়ী, নরকাসুর নামক এক অসুর নিজের শক্তির দ্বারা দেবতা ও মনুষ্যদের অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। ১৬ হাজার স্ত্রী এবং সাধুকে বন্দি বানিয়ে রেখেছিল নরকাসুর। এরপর মুনি-ঋষিরা কৃষ্ণের দ্বারস্থ হন। নরকাসুরের হাত থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব নেন কৃষ্ণ। কিন্তু শুধু স্ত্রীর হাতে মৃত্যুর অভিশাপ পেয়েছিল নরকাসুর। এই কারণে কৃষ্ণ নিজের স্ত্রী সত্যভামাকে সারথী করেন এবং তাঁর সাহায্যে নরকাসুরকে বধ করেন। যেদিন নরকাসুর বধ হয়েছিল, সেই দিনটি ছিল কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথি (Kali Puja 2023)। তাই তিথিকে নরক চতুর্দশী বলা হয়।
এদিন বেরিয়ে আসে অশরীরী প্রেতাত্মারা!
আবার এই তিথিটিকে ভূত চতুর্দশী (Bhoot Chaturdashi 2023) বলার পিছনের আরেক ব্যখ্যা হল, মনে করা হয়, এই তিথিতে সন্ধ্যা নামলেই অশরীরী প্রেতাত্মারা বেরিয়ে আসে। তাদের হাত থেকে মুক্তি পেতে এই তিথিতে গৃহস্থ বাড়িতে ১৪টি প্রদীপ জ্বালানো হয়। আবার আর একটি প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এই তিথিতে চোদ্দ পুরুষের আত্মার আসা-যাওয়া থাকে। মনে করা হয় তাঁদের যাতায়াতের পথ আলোকিত রাখার জন্যই প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করার প্রথা রয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours