মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে কাজে নেই। তাই, কাজের জন্য হাজার হাজার মানুষ ভিনরাজ্যে যেতে বাধ্য হন। বিরোধীরা বার বারই এই অভিযোগ করে আসছেন। এবার শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্য সেকথা স্বীকার করেছেন। আর সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়ে স্বামীর হাতে কাজ না থাকার কথা উল্লেখ করেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) হিলি গ্রাম পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েত সদস্যার নাম অলোকা কুণ্ডু। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
ইস্তফাপত্রে কী লিখেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা? (Dakshin Dinajpur)
এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) হিলি গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব আপ্তের গ্রাম সংসদ থেকে ঘাসফুলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। নির্বাচনের কয়েক মাস যেতে না যেতে আচমকাই তাঁর ইস্তফার ঘটনায় শোরগোল পড়েছে হিলিতে। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদলও। ১৪ আসনের হিলি গ্রাম পঞ্চায়েতে পূর্ব আপ্তের সংসদ থেকে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন গৃহবধূ অলোকা কুন্ডু । ৩০৬ ভোটে নির্বাচনে জয়ী হন তিনি। পঞ্চায়েতের ১২টি আসনে তৃণমূল জয়ী হওয়ায় বোর্ডও তৃণমূলের দখলে যায়। গত মাসে শপথগ্রহণ করে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে শামিল ছিলেন অলোকা কুন্ডু। সপ্তাহ দুয়েক আগে পঞ্চায়েতের উপসমিতি গঠনের সভাতেও তিনি হাজির ছিলেন। কিন্তু, আচমকা গতকাল পঞ্চায়েতের প্রধান ও দলের ব্লক সভাপতির কাছে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন তিনি। ইস্তফাপত্রে অলোকা লিখেছেন, 'পারিবারিক ও আর্থিক সমস্যার কারণে সপরিবারে তাঁরা ভিনরাজ্যে কাজে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তাই বাধ্য হয়ে তিনি নির্বাচিত পদে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন।' ইস্তফাপত্রটি পঞ্চায়েত প্রধান ও ব্লকের নেতাকে গ্রহণ করার অনুরোধ জানাচ্ছেন তিনি।
কী বললেন পঞ্চায়েত সদস্যা?
অলোকার মন্তব্য, পারিবারিক ও আর্থিক সমস্যায় আমি নির্বাচিত পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। আমার স্বামী কাজের সন্ধানে ভিনরাজ্যে যাবে। আমাকেও স্বামীর সঙ্গে যেতে হবে। তাছাড়া আমি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছি। বাচ্চা নিয়ে এত কিছু সামলানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে সরে দাঁড়াচ্ছি।
পঞ্চায়েত প্রধানের কী বক্তব্য?
এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) হিলি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিশ্বজিৎ দাস বলছেন, পঞ্চায়েত সদস্যার চিঠি পেয়েছি। তিনি পারিবারিক সমস্যার কারণে ইস্তফাপত্র দিয়েছেন। দ্রুত ওই সমস্যা মিটে যাবে। তবে, এনিয়ে তৃণমূলের হিলি ব্লক সভাপতির কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?
এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, তৃণমূল সরকার পশ্চিমবাংলায় যে কাজের সংস্থান করতে পারছে না তা প্রমাণিত হয়ে গেল। মানুষ চরম আর্থিক সমস্যায় ভুগছেন। হিলির এই ঘটনা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। আজকে তৃণমূলের সদস্য জেতার পরও তাকে কাজের জন্য ভিন রাজ্যে যেতে হচ্ছে। আজকে ভিনরাজ্যে কাজ পাওয়া যায় পশ্চিম বাংলায় কাজ নেই।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours