Governor Of West Bengal: ফের ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল

রাজভবন-নবান্ন সংঘাতের মাঝে ফের উপাচার্য নিয়োগ রাজ্যপালের
CV_Ananda_Bose
CV_Ananda_Bose

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবন-নবান্ন সংঘাত চরমে উঠেছিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (Governor Of West Bengal) উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে। শাসকদলের একাধিক মন্ত্রী-বিধায়ক তীব্র আক্রমণ শানান সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপালকে। বেশ কয়েকজন প্রাক্তন উপাচার্যকে নিয়ে তখন রাজভবনের বাইরে বিক্ষোভও দেখা যায় কবি সুবোধ সরকারের নেতৃত্বে। এই আবহে ফের রাজ্যে ছ'টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল (Governor Of West Bengal) সিভি আনন্দ বোস।

৬ উপাচার্য নিয়োগ রাজ্যপালের

রবিবার রাজভবনের (Governor Of West Bengal) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ছ'টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের তালিকায় রয়েছেন একজন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন আইপিএস অফিসার সি এম রবীন্দ্রনকে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন রথীন বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন প্রাক্তন আইপিএস। জানা গিয়েছে মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হচ্ছেন অচিন্ত্য সাহা। মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে রাজ্যপাল নিয়োগ করেছেন বিবি পারিদাকে। কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের দায়িত্ব পাচ্ছেন নিখিলচন্দ্র রায়। আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের দায়িত্ব পাচ্ছেন রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করা হচ্ছে দিলীপ মাইতিকে।

মামলা সুপ্রিম কোর্টে

প্রসঙ্গত স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের রাখতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে নবান্ন। সেই মামলায় এখনও পর্যন্ত কোনও রায়দান করেনি শীর্ষ আদালত। আবার রাজ্যপালের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশও জারি করেনি সুপ্রিম কোর্ট। জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাইকোর্টে নির্দেশ মেনে এর আগে যে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছিল তাতে সদস্য সংখ্যা ছিল ৩। এঁরা হলেন, রাজ্যপাল (Governor Of West Bengal), সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি এবং রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি। এরপরে কমিটির সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয় ৫। এ নিয়ে অর্ডিন্যান্সও পাশ করা হয়ে গিয়েছে বিধানসভায়।  এ প্রসঙ্গে রাজ্যপালের আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্তের দাবি, নতুন কমিটিতে রাজ্য সরকারের তিনজন প্রতিনিধি থাকার কথা বলা হয়েছে। এটা পরিকল্পনামাফিক করা হয়েছে। কারণ রাজ্য কোনও সিদ্ধান্ত নিলে তা সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে পাশ হয়ে যাবে ওই কমিটিতে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যপালের মতামতকে উপেক্ষা করার উপায় রয়েছে।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles