Nadia: রাত পোহালেই বিশ্বকর্মা পুজো, বিক্রি নেই প্রতিমার, মাথায় হাত নদিয়ার মৃৎশিল্পীদের

জৌলুসহীন বিশ্বকর্মা পুজো, আর্থিক সংকটের মুখে নদিয়ার মৃৎশিল্পীরা
Nadia_(2)
Nadia_(2)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ রাজ্যে নেই শিল্প, গড়ে ওঠেনি নতুন কল কারখানা! মেলেনি বিশ্বকর্মা ঠাকুর তৈরির বরাদ, চরম আর্থিক সংকটে দিন কাটছে কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পীদের। নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পীদের ঐতিহ্য রয়েছে রাজ্য তথা গোটা দেশজুড়ে। মাটির পুতুল থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেবদেবীর মূর্তি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যায় কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পীদের কাছ থেকে। বিভিন্ন পুজোর দিকেই তাকিয়ে থাকেন তাঁরা। পুজো এলেই কাজের বরাত পৌঁছে যায়। রাত পোহালেই বিশ্বকর্মা পুজো। মূলত বর্তমানে বিভিন্ন ঘরে ঘরেই ছোটখাটো বিশ্বকর্মার পুজো হয়ে থাকে। সেই প্রতিমাও বিক্রি নেই। মাথায় হাত মৃৎশিল্পীদের।

একসময় বিশ্বকর্মা পুজোর আগে ব্যস্ত থাকতেন মৃৎশিল্পীরা

অন্যদিকে,কয়েক দশক আগে নদিয়ার (Nadia) কল্যাণী শিল্পাঞ্চল জুড়ে বড় বড় কলকারখানা থেকে এবং শিল্পপতিদের থেকে বিশ্বকর্মা ঠাকুর তৈরির অর্ডার পেতেন মৃৎশিল্পীরা। সেখান থেকে তাঁদের মোটা টাকা আয়ও হত। কিন্তু, আস্তে আস্তে গোটা রাজ্যের বড়, মাঝারি শিল্প থেকে শুরু করে ছোটখাটো শিল্প বন্ধ হয়ে গেছে। একাধিক কলকারখানা এখন জঙ্গল এবং আগাছা গ্রাস করে নিয়েছে। সেই কারণে বড় ঠাকুর তৈরির অর্ডার আর আসে না। সেই কারণেই কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা।

কী বললেন মৃৎশিল্পীরা? (Nadia)

মৃৎশিল্পীদের মূলত ঠাকুর তৈরির ওপরে তাঁদের সংসার চলে। কিন্তু, বড় বড় ঠাকুর তৈরির অর্ডার না এলে কিভাবে এই পেশায় যুক্ত থেকে সংসার চালাবেন তা নিয়েই চিন্তিত তাঁরা। নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরে দীর্ঘদিনের মৃৎশিল্পী তারক পাল বলেন, প্রায় দশ বছর ধরে রাজ্যের বিভিন্ন কলকারখানা এবং শিল্প বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আগে যে সমস্ত আমরা বড় বড় বিশ্বকর্মা ঠাকুর তৈরির অর্ডার পেতাম এখন তা আর আসে না। মূলত ছোট ছোট বাড়ির পুজোর ঠাকুর তৈরির উপরেই আমাদের নির্ভর করতে হয়। কিন্তু সেখানে লাভের অংশ নিতান্তই কম। সেই কারণে এই পেশায় যুক্ত থেকে সংসার চালানো খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা চাই আগের মত যাতে গোটা রাজ্য জুড়ে শিল্প এবং কলকারখানা নতুন করে চালু হোক। তাহলে কিছু আর্থিক দিক থেকে সবল হব। আর এক মৃৎশিল্পী অরবিন্দ পাল বলেন, বর্তমানে যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে সেখানে লাভের শতাংশ অনেকটা কমে গেছে। ঠাকুর তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম এখন ডবল দাম দিয়ে কিনতে হয়। কিন্তু, সেই অর্থে আমরা ঠাকুরের দাম বাড়াতে পারিনি। যে কারণে আর্থিক দিক থেকে সমস্যায় পড়তে হয় আমাদের।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles