মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে নতুনরুটে ছুটবে ট্রেন (Indian Railway)। ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে আগামী মাসেই ট্রায়াল রান শুরু করা হবে। প্রসঙ্গত, নতুন রুটের এই ট্রেনে ত্রিপুরার নিশ্চিন্তপুর থেকে বাংলাদেশের গঙ্গাসাগর রেলস্টেশনের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে। তারপরেই শুরু হবে বাণিজ্যিকভাবে রেল পরিষেবা। এখনও পর্যন্ত যা জানা গেছে তাতে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সেপ্টেম্বর মাসের ৯ এবং ১০ তারিখে নিশ্চিন্তপুর-গঙ্গাসাগর রেলস্টেশনের মধ্যে ট্রায়াল রান শুরু করবে। পরবর্তীকালে, ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার সঙ্গে এই রুট (Indian Railway) যুক্ত করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
আগরতলা থেকে মাত্র ১০ ঘণ্টায় কলকাতা পৌঁছানো সম্ভব হবে
রেল (Indian Railway) সূত্রে খবর, এই রেলপথটি চালু হলে ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক অনেকটাই উন্নত হবে। সেই সঙ্গে দুই দেশে কম সময়ে এবং কম খরচে আরও বেশি করে পণ্য আমদানি-রফতানি করা যাবে। যার ফলে ব্যবসা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এই ট্রেনে চেপে আগরতলা থেকে মাত্র ১০ ঘণ্টায় কলকাতা পৌঁছানো সম্ভব হবে। রেল (Indian Railway) প্রকল্পটির বাংলাদেশ অংশের নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪১ কোটি টাকা। ২০২০ সালের মধ্যেই এর কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু করোনার কারণে সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করা যায়নি। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দিল্লিতে বসছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। সেখানে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে উঠতে পারে ভারত-বাংলাদেশ এই রেল (Indian Railway) প্রকল্পের কথা।
কী বলছেন বাংলাদেশের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী?
অন্যদিকে, বাংলাদেশের সঙ্গে আরও যোগাযোগ বাড়াতে চাইছে ত্রিপুরা। জানা গেছে আগরতলার বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিমান চালানোর উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়েছে। এরই সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তে ডাবল লাইন রেলপথ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্য নিয়ে আপাতত নতুন চারটি রুটও খুলে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন সান্তনা চাকমা, ‘‘বাংলাদেশে পণ্য পরিবহণের জন্য ভারতীয় ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দর ব্যবহার করতে পারবেন। এই দুটি বন্দরে (Indian Railway) প্রবেশ করা এবং ব্যবহার করা অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে ভারত ও বাংলাদেশ একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। আমরা উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির সঙ্গে আরও বেশি বাণিজ্য করতে চাইছি। এই জন্য ত্রিপুরা ও উত্তর-পূর্বের অন্যান্য রাজ্য থেকে পণ্য স্থানান্তরের জন্য বাংলাদেশ সরকার চারটি রুট খুলে দিয়েছে।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours