তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল
ক্যান্সার চিকিৎসায় অস্ত্রোপচারের পর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রয়োজন হয় রেডিওথেরাপির (Cancer Rediotherapy)। উন্নত ও আধুনিক এই চিকিৎসার ফলে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের মোকবিলা সহজ হয়।চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জরায়ু, থাইরয়েড, মুখ ও গলার ক্যান্সার কিংবা স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসায় অস্ত্রোপচারের পর রেডিওথেরাপি অত্যন্ত জরুরি। দেহের অন্য অংশকে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ থেকে বাঁচাতে প্রয়োজন রেডিওথেরাপি। কিন্তু রেডিওথেরাপিতেই শেষ নয়। ক্যান্সার রোগীর সুস্থ স্বাভাবিক জীবন কাটাতে রেডিওথেরাপির পরবর্তী চিকিৎসাও জরুরি। সম্পূর্ণ চিকিৎসা হলে তবেই রোগী সুস্থ জীবন কাটাতে পারবেন।
রেডিওথেরাপির (Cancer Rediotherapy) পর কোন ধরনের শারীরিক সমস্যা হয়?
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ক্যান্সারের অস্ত্রোপচারের কয়েক সপ্তাহ কিংবা কয়েক মাস পরে শুরু হয় রেডিওথেরাপি। রোগীর শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী কতখানি রেডিওথেরাপি প্রয়োজন, চিকিৎসকরা সেই সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু রেডিওথেরাপির পর রোগীর একাধিক শারীরিক সমস্যা হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রেডিওথেরাপির পর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগীর বুকে এক ধরনের চাপা ব্যথা অনুভব হয়, বুকের মাঝখানে কিছু আটকে রয়েছে এমন অস্বস্তি বোধ হয়। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের কাশি হয়। দীর্ঘকালীন কাশি বা গলা খুসখুসের মতো উপসর্গ দেখা যায়। শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যাও অনেকের হয়। ফুসফুসের সমস্যা দেখা যায়। অর্থাৎ, প্রায় হাঁপানির মতো নানা সমস্যা, এমনকি নিউমোনিয়াও দেখা দেয়। এছাড়াও চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রেডিওথেরাপির (Cancer Rediotherapy) পরে চুল পড়ে যাওয়া, ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া, শুষ্কতা, চামড়া কুঁচকে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।
কীভাবে সমস্যার (Cancer Rediotherapy) মোকাবিলা করা যাবে?
ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসা প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদী হওয়ার জেরে সম্পূর্ণ চিকিৎসা হয় না। ক্যান্সার রোগ নির্ণয় হয় দেরিতে। আবার যেসব ক্যান্সারে উপসর্গ প্রকাশ হয়, সেগুলোর ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার এবং রেডিওথেরাপির (Cancer Rediotherapy) মতো জরুরি চিকিৎসা হয়। কিন্তু তার পরবর্তী সমস্যায় গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রেডিওথেরাপির পরবর্তীতে যেসব সমস্যা রোগীর হয়, সেগুলো চিহ্নিত করা এবং তার চিকিৎসা জরুরি। রেডিওথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জেরে ফুসফুস কিংবা বক্ষঃরোগের সমস্যা হয়। কিন্তু এই সমস্যার চিকিৎসা সম্ভব। নির্দিষ্ট ওষুধের মাধ্যমে এই সমস্যাগুলোর মোকাবিলা সম্ভব। পাশপাশি ত্বক ও চুলের যে সমস্যা দেখা যায়, সেগুলোর নির্দিষ্ট ওষুধ রয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগীর এই ধরনের সমস্যার চিহ্নিতকরণ হয় না। ফলে, ক্যান্সার মোকাবিলার পরেও রোগীর সুস্থ জীবন যাপনে জটিলতা তৈরি হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ক্যান্সারের রোগ নির্ণয় করে তার সম্পূর্ণ চিকিৎসা করালে স্বাভাবিক জীবন যাপন সম্ভব। সচেতনতা ও সতর্কতাই সেই পথ সহজ করে।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
+ There are no comments
Add yours