মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া ময়দানের মঙ্গলাহাটে চক্রান্ত করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ব্যাবসায়ীরা। ইতিমধ্যেই পোড়া মঙ্গলাহাটের বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। শুক্রবার দুপুরে বিজেপির (BJP) হাওড়া জেলা সদরের সভাপতি মনিমোহন ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে একদল বিজেপি নেতা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?
বিজেপির (BJP) রাজ্য সম্পাদক উমেশ রায় বলেন, এই হাটে ব্যবসায়ীদের থেকে মোটা টাকা তোলা হয়। আর ব্যবসায়ীদের কোনও স্বার্থ দেখা হয় না। এই হাটে কোনও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নেই। যার ফলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দলের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য আমরা ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছি। এর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের ব্যবসা করার জায়গা দিতে হবে। বিজেপির হাওড়া জেলা সদরের সভাপতি মনিমোহন ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, মঙ্গলাহাটের বেচাকেনার দিন বদল করা হচ্ছে। এই হাটকে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। তিনি এর জন্য সরাসরি তৃণমূলকে দায়ী করেন।
কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?
এদিন সকালে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু এবং রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় আলাদাভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা জানিয়েছেন, কী কারণে আগুন লাগল তা নিয়ে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা তদন্ত করবেন। তাতে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তোলাবাজির অভিযোগ নিয়ে অরূপ রায়ের বক্তব্য, কোনও অভিযোগ থাকলে পুলিশ তদন্ত করে দেখবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কী বললেন মঙ্গলহাটের মালিক?
মঙ্গলহাটের মালিক শান্তিরঞ্জন দে বলেন, এই হাট নিয়ে অনেকগুলি মামলা চলছে। আমার বিরুদ্ধে যে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি এই ধরনের কোনও কাজ করিনি। এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, শট সার্কিট থেকেও আগুন লাগতে পারে।
ব্যবসায়ীদের কী বক্তব্য?
ব্যাবিসায়ীদের অভিযোগ,এই হাটের মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গণ্ডগোল চলছিল। ৩৬ বছর আগে একবার এই হাটে আগুন ধরে যায়। তারপর থেকে এটিকে পোড়া হাট নামেই চেনেন সকলে। এই পোড়া হাট ছাড়াও আরও প্রায় ১১ টি হাট ভবন আছে এখানে। সেই সব ভবনেও আগুন নেভানোর কোনও পরিকাঠামো নেই। এসব নিয়ে বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব সরব হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours