Anubrata Mondal: নেটওয়ার্ক খারাপ! তিহাড় বন্দি কেষ্টর শুনানি হলনা আসানসোল আদালতে

নিয়োগ দুর্নীতিতেও জড়াল কেষ্টর নাম
Anubrata
Anubrata

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এবং তাঁর একদা দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে এই শুনানি ছিল। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতর আইনজীবীরা এদিন আদালতে উপস্থিতও ছিলেন। কিন্তু বাধা খারাপ নেটওয়ার্ক। কোনওভাবেই তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগই করা গেল না। বারবার সংযোগ করতে চেয়েও এদিন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় আসানসোল আদালতের। শুক্রবার তাই শুনানি সত্ত্বেও জামিনের কোনও আবেদন করতে পারলেন না, কেষ্টর আইনজীবীরা।

নিয়োগ দুর্নীতিতেও কেষ্ট?


গরু পাচার মামলায় ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। জানা গিয়েছে, এবার আরও এক দুর্নীতিতে জড়িয়েছে কেষ্টর নাম।  সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতেও এবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে। সূত্রের খবর এনিয়ে উদ্যোগ নিতেও শুরু করেছে ইডি আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, একধাপ এগিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের বয়ান রেকর্ড করার জন্য ইতিমধ্যেই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে বিশেষ আবেদন জানিয়েছে ইডি। আগামী ২০ জুলাই বিচারক রঘুবীর সিং-এর বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি রয়েছে বলে খবর ইডি সূত্রে। ইডি-র আর্জি আদালতে মঞ্জুর হলে তারা তিহাড় জেলে গিয়ে কেষ্টকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাতে পারবে। 

সুকন্যার নামে পেট্রল পাম্পের হদিশ

সিবিআই তদন্তে উঠে এল নতুন তথ্য। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আদালতকে জানিয়েছে, বীরভূমে একটি পেট্রল পাম্প অনুব্রতের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল এবং তৃণমূল (Anubrata Mondal) নেতার ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎ বরণ গায়েনের নামে রয়েছে। সিবিআই এর আরও অভিযোগ, খন্দকার কনস্ট্রাকশন নামে একটি কোম্পানিতে বিপুল পরিমাণে নগদ টাকা জমা হয়েছে। সিবিআই এর দাবি,  ওই কোম্পানির মালিক সায়গলের সম্পর্কে শ্যালক। প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, অনুব্রতের নামে চারটি পেট্রল পাম্প থাকার কথা এর আগে আদালতকে জানিয়েছে সিবিআই। পাশাপাশি, নতুন একটি চালকলের খোঁজও পেয়েছে সিবিআই। এই চালকলের সঙ্গে কেষ্টর প্রত্যক্ষ আর্থিক লেনদেন হতো বলে খবর। অন্যদিকে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) জমি কেনা বেচা নিয়েও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। সিবিআই আদালতে বিচারককে জানিয়েছে, কেষ্টর জমিগুলোর রেজিস্ট্রি হয়েছ নগদ টাকায়। প্রায় এক কোটি টাকারও বেশি নগদ অর্থে জমির রেজিস্ট্রি হয়েছে, কিন্তু তা নিয়ে রেজিস্ট্রি অফিস কোনও প্রশ্নই নাকি তোলেনি। এতেই বোঝা যায়, কেষ্ট কতটা প্রবাবশালী, মত ওয়াকিবহাল মহলের।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles