মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভাব, অনটন নিত্যসঙ্গী। শত প্রতিকূলতাকে জয় করে বালুরঘাট শহরের উত্তমাশার শ্রেয়া মল্লিক (HS Student) আজ স্টার। অভাবের সঙ্গে লড়াই করে উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করে নজির সৃষ্টি করেছেন তিনি। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪। উচ্চশিক্ষার জন্য কলকাতায় যাবেন। কিন্তু, তাঁর এই স্বপ্নপূরণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আর্থিক অনটন। আগামীতে মেয়েকে পড়াবেন কীভাবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন শ্রেয়ার বাবা-মা।
নিজের এই সাফল্য নিয়ে কী বললেন শ্রেয়া?
শ্রেয়া (HS Student) বাংলায় ৯৯, ইংরেজিতে ১০০, এডুকেশনে ৯৭, দর্শনে ৯১ এবং ভূগোলে ৯৯ পেয়েছেন। শ্রেয়া বলেন, "ভালো রেজাল্ট করব আশা করেছিলাম। কিন্তু, এত ভালো ফল আশা করিনি। আমার এই সাফল্যের পিছনে মা-বাবা, পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রাইভেট টিউটরদের অবদান রয়েছে"। আর পড়াশোনার প্রস্তুতি নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, "ঘড়ি ধরে পড়াশোনা করার পক্ষপাতী আমি ছিলাম না। যখন ইচ্ছে হতো পড়তাম। তবে যতক্ষণ পড়তাম, মন দিয়ে পড়তাম। প্রতিদিন সংবাদপত্র পড়তে ভালোবাসতাম। এছাড়াও গল্পের বই পড়তেও আমার ভালো লাগে। আগামীতে ইংরেজি নিয়ে পড়াশোনা করতে চাই"।
মেয়ের সাফল্য নিয়ে কী বললেন মা?
শ্রেয়ার (HS Student) বাবা অধীর মল্লিক বালুরঘাট জেলা আদালতে মুহুরির কাজ করেন। মা তুলসী দে মল্লিক গৃহবধূ। তিনি বলেন, "এই সাফল্যে আমরা খুশি হলেও, মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই চিন্তিত। আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় মেয়েকে কোনওরকমে পড়াতে পেরেছি। এবার কলকাতায় মেয়ের পড়ার ইচ্ছে রয়েছে। কিন্তু সেই আর্থিক সামর্থ্য নেই আমাদের। তাই আপাতত ঠিক করেছি বালুরঘাটেই মেয়েকে পড়াব। প্রাইভেট টিউটররা খুব কম টাকায় এতদিন মেয়েকে পড়িয়েছেন। প্রত্যেকের সহযোগিতায় মেয়ের এই সাফল্য। এখন মেয়েকে কীভাবে পড়াব, তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি"।
কী বললেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক?
বালুরঘাট ললিতমোহন আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশিস চক্রবর্তী বলেন, "শ্রেয়া খুব ভাল ছাত্রী (HS Student)। পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। তাঁকে আমরা বরাবর সাহায্য করেছি। আগামীতেও করব। তাঁর এই সাফল্যে আমরা গর্বিত"।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours