মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নকশাল কেবিন থেকে বিচারাধীন বন্দির ঝুলন্ত দেহ (Suicide) উদ্ধার করল কোতোয়ালি থানার পুলিশ। মৃতের নাম দুলাল ভক্তা (৪৯)। বাড়ি ঝাড়গ্রাম জেলার বিরিহান্ডির বাগছাপা গ্রামে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫ মে অর্থোপেডিক সমস্যা নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন দুলাল। কেবিনের বাইরে নিরাপত্তারক্ষীরা থাকলেও কী করে এমন ঘটনা ঘটল, তার তদন্ত শুরু করেছে জেল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ। খবর পেয়ে হাসপাতালে যান ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। শুক্রবার দুপুরে বাথরুমে গিয়ে গলায় গামছা দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বাথরুম থেকে না বের হওয়ায় ভিতরে ঢুকে নিরাপত্তারক্ষীরা দেখতে পান, ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন দুলাল। তাকে উদ্ধার করলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এই ঘটনায় হাসপাতালে শোরগোল পড়ে যায়।
কী মামলা ছিল তাঁর বিরুদ্ধে?
জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম থানার ২০২২ সালের একটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ঝাড়গ্রাম জেলে বিচারাধীন বন্দি ছিলেন দুলাল। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৬, ৩০৭ ধারায় মামলা ছিল। চিকিৎসার জন্য চলতি বছরের ১ এপ্রিল মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে গত ৫ মে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২ টা নাগাদ ঘটনা (Suicide) ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।
কী জানালেন হাসপাতাল সুপার?
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সুপার জয়ন্ত রাউত বলেন, হাসপাতালের নকশাল কেবিনে এক বিচারাধীন বন্দির ঝুলন্ত দেহ (Suicide) উদ্ধার হয়েছে। জেল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে সেখানে। তবে এই বিষয়ে জেল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এই ঘটনাকে ঘিরে একদিকে যেমন রহস্য ঘনীভূত হয়েছে, তেমনি নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কীভাবে নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে তিনি ওইরকম কাণ্ড ঘটালেন, সেটাই ভাবাচ্ছে সবাইকে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours