Necrophilia cases in Pakistan: মহিলাদের মৃতদেহ তুলে ধর্ষণ! পাকিস্তানে কবরে দেওয়া হচ্ছে তালা

অভিযুক্ত স্বীকার করে যে প্রায় ৪৮ টি মৃত নারীর দেহ মাটি থেকে তুলে যৌন নির্যাতন করেছে
Necrophilia_cases_in_Pakistan
Necrophilia_cases_in_Pakistan

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলাদের মৃতদেহের প্রতিও বিকৃত যৌনাচার বৃদ্ধি পাচ্ছে পাকিস্তানে! শুনতে অবাক এবং ঘৃণা লাগলেও এমন ঘটনাই সেদেশে ঘটছে। সমাজকর্মীদের অভিযোগ, পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, পাকিস্তানে মৃত মেয়েদের কবরে তালা লাগিয়ে তাদের শরীর রক্ষা করছে পরিবার। কবর থেকে মৃত যে কোনও বয়সের মেয়ের দেহ খুঁড়ে বের করে যৌন সঙ্গম, ধর্ষণ, অত্যাচার এবং শারীরিক নিগ্রহের ঘটনা (Necrophilia cases in Pakistan) পাকিস্তানের সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ঘটনা ঠিক কী ঘটছে?

পাকিস্তানের এক সমাজকর্মী সামজিক মাধ্যম ট্যুইটারে মৃত মেয়েদের কবরকে তালাবন্দি করে রাখার ছবি ছড়িয়ে দিয়ে জানান, মৃত মেয়েদের ধর্ষণ Necrophilia cases in Pakisthan আটকাতেই এই তালা। তবে এই ঘটনা আকস্মিক নয়। ২০২২ সালে পাকিস্তানের গুজরাটের চক কমলা গ্রামে এক কিশোরীর মৃতদেহ মাটির নিচ থেকে তুলে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে আসে। ২০২১ সালে উপকূলীয় শহর গোলামুল্লাহতে, ২০২০ সালে পাঞ্জাব শহরে, ২০১৯ সালে করাচির ল্যান্ড টাউনে, ২০১৩ সালে গুজরানওয়ালায় একইভাবে মৃত মহিলার দেহ তুলে নিয়ে সঙ্গম করে বিকৃত যৌনাচারের অভিযোগ পাওয়া যায়। ২০১১ সালে উত্তর জানিমাবাদ থেকে মুহামদ রিজওয়ান নামক এক গোরস্থানের রক্ষীকে গ্রেফতার হয়। এই অভিযুক্ত স্বীকার করে যে প্রায় ৪৮ টি মৃত নারীর দেহ মাটি থেকে তুলে যৌন নির্যাতন (Necrophilia cases in Pakistan) করেছে। পাক প্রশাসন বিভিন্ন সময়ে বিশেষ তদন্ত শুরু করেছিল। কিন্তু কোনও সমাধান না হওয়ায় মৃত মেয়েদের অভিভাবকরা কবরে তালা দিয়ে মৃতের শরীরে যৌনাচার বন্ধের পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছেন। 

সমাজ কর্মীদের প্রতিক্রিয়া

পাকিস্তানের বিশিষ্ট সমাজকর্মী লেখক হারিস সুলতান ট্যুইটারে মৃত মেয়ের কবরে তালাবন্দি ছবি পোস্ট করে বলেন, পাকিস্তানে মৃত মেয়েদের যাতে ধর্ষণ না করা হয়, সেই জন্যই কবরে তালা। তাঁর লেখা একটি বই ‘দ্যা কারসি অফ গড হোয়াই আই লেফট ইসলাম’ তে তিনি পাকিস্তানের সমাজে বিকৃত যৌন আচরণের (Necrophilia cases in Pakisthan) মধ্যে ধর্মীয় অন্ধত্ব এবং গোঁড়ামি বিশেষ কারণ হিসাবে দেখিয়েছেন। পাকিস্তনের সাজিদ ইউসুফ শাহ নামে আরেক সমাজতাত্ত্বিক গবেষক মনে করেছেন, যৌন ক্ষুধা এবং অবদমিত সমাজ জন্ম নিয়েছে পাকিস্তানে। এই ঘটনাগুলি কোনও বিচ্ছিন্ন নয়, মৃতদেহকে কবর থেকে তুলে এনে যৌন সম্পর্ক, নিগ্রহ ও ধর্ষণের ঘটনা (Necrophilia cases in Pakistan) সামজিক সমস্যা। পাকিস্তানে ন্যাশনাল কমিশন ফর হিউম্যান রাইট বিশেষ রিপোর্টে জানিয়েছে যে, পাকিস্তানে প্রায় ৪০ শতাংশ নারী জীবনে কোনও না কোনও রকম নির্যাতনের শিকার অবশ্যই হয়েছেন। সমাজতাত্ত্বিকরা মনে করছেন, আগামী দিনে পাকিস্তান রাষ্ট্র এই বিকৃত যৌন সমস্যা এবং মৃত শরীরে যৌন নিগ্রহের বিষয়ে কী সদর্থক ভাবনাচিন্তা করে, সেটাই এখন দেখার।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles