মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দোকান মানেই যেন সামনে সারি দিয়ে দাঁড়ানো মানুষ। চাল,ডাল, গমের বস্তা সার দিয়ে রাখা। আগে অবশ্য কেরোসিন তেলও দেওয়া হত। কিন্তু আগামী দিনে রেশনের দোকানে ব্যাঙ্কের কাজও করতে পারবেন, আবার ধূপও পাবেন। আবার বিদ্যুতের বিলও জমা দেওয়া যাবে রেশন দোকানেই। মানে যাকে বলে এককথায় হিরে থেকে জিরে! সব পরিষেবাই পাওয়া যাবে রেশন দোকানে। পরিকল্পনা অনেকদিন ধরেই চলছিল। দেশের বেশ কিছু রাজ্যে এই পরিষেবা ইতিমধ্যে শুরুও হয়ে গেছে। এরফলে আর্থিকভাবে আগের থেকে অনেকটা লাভবানও হচ্ছেন রেশন ডিলাররা। সম্প্রতি, এবিষয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দিল্লিতে।
কবে অনুষ্ঠিত হল এই সেমিনার
কেন্দ্রীয় সরকারের খাদ্য মন্ত্রকের উদ্যোগে 'ন্যাশনাল কনফারেন্স অন ট্রান্সফরমেশন অফ ফেয়ার প্রাইস শপ' অনুষ্ঠিত হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি নতুন দিল্লিতে। এই সম্মেলনে হাজির ছিলেন সিএসপি, এমএসপি, ব্য়াঙ্কিং, ই-গভর্নেন্স সার্ভিসেস ইন্ডিয়া লিমিটেড, ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্ট ব্যাঙ্ক এর প্রতিনিধিরা, এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
কী কী আলোচনা হল সেমিনারে
সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন এমএসপির প্রতিনিধি মিতুল থাপিয়াল বলেন, রেশন দোকানগুলির সঙ্গে এমএসপি, সিএসপি জুড়লে সাধারণ মানুষ আরও লাভবান হবেন। এক জায়গাতেই সব পরিষেবাটা পাওয়া যাবে। তিনি আরও বলেন, বেশ কতগুলি রাজ্যে ইতিমধ্যে চালু হয়েছে এই পরিষেবা এতে সাধারণ মানুষের অনেকটাই সুবিধা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রকের সচিব সঞ্জীব চোপড়া বলেন, আমরা প্রতিটি রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি করেছি যে রেশন ডিলাররা যাতে নন-পিডিএস আইটেমগুলিও রাখতে পারেন, তার ব্যবস্থা করার জন্য। প্রসঙ্গত, নন-পিডিএস আইটেম মানে ধূপ, সাদা তেল, সরষের তেল, হলুদ গুঁড়ো ইত্যাদি। সঞ্জীব চোপড়ার আরও সংযোজন, সারা দেশে এখন ৪০ হাজার মতো রেশন দোকান রয়েছে, যেগুলির সঙ্গে সিএসপি জোড়া হয়েছে। গুজরাটের উদাহরণও এদিনের বক্তব্যে টেনে আনে এই আমলা। তিনি বলেন, গুজরাটে রেশন ডিলাররা ৫০ হাজার টাকা করে রোজগার করছে প্রতিমাসে, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে।
সম্মেলনে ঠিক হয়, রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে সমন্বয় করে রেশন ডিলারদের এই বিষয়ে প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে, এবং তাঁদেরকে বিভিন্ন ব্যবসার বিষয়ে জানানো হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours