মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেড় বছর আগে তালিবান বাহিনী কাবুলের দখল নেওয়ার পর থেকেই মহিলাদের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। কয়েক মাস আগে আফগানিস্তানের তালিবান সরকার মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। পড়াশোনার পর এবার চিকৎসা। সম্প্রতি, এক প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানের পুরুষ ডাক্তারদের মেয়েদের চিকিৎসা করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। সে দেশে মেয়েদের উচ্চশিক্ষার পথও বন্ধ তাই মহিলা চিকিৎসক পাওয়াও মুশকিল। অতএব বিনা চিকিৎসায় থাকবেন মহিলারা! প্রশ্ন সারা বিশ্বের।
চিকিৎসায় নিষেধাজ্ঞা
বেসরকারি সংস্থায় মহিলাদের কাজ করা, পার্ক এবং জিমে প্রবেশের ক্ষেত্রে, এমনকী, রাস্তাঘাটে মেয়েদের একা চলাফেরার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি হয়েছিল আগেই। এবার আফগানিস্তানের বালখ প্রদেশের মহিলারা তাদের চিকিৎসার জন্য কোনও পুরুষ ডাক্তারের কাছে যেতে পারবেন না। জানা গিয়েছে পাবলিক অ্যাফেয়ারস এবং তালিবান অভিযোগের শুনানি দফতর একটি নতুন আদেশ ঘোষণা করে বলেছে যে মহিলারা এরপরে আর পুরুষ ডাক্তারদের কাছে যেতে পারবেন না। তালিবানের নতুন ফতোয়ায় মহিলা রোগীদের চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে পুরুষ ডাক্তারদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রতিটি হাসপাতালকে এই ফতোয়া মানা হচ্ছে কি না তা নজর রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: যে হাতে গর্জে উঠত বন্দুক, সেই হাতেই লাঠি দাউদের, ডনের দশা করুণ!
মহিলা অ্যাথলিটদের হুমকি
এছাড়াও আফগানিস্তানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মহিলা অ্যাথলিটরাও। গত বছর তালিবান সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রী আহমেদুল্লাহ ওয়াশিক স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছিলে, ‘‘যে কোনও খেলা, যাতে শরীর দেখা যায় তা মহিলাদের জন্য নিষিদ্ধ।’’ কঠোর বিধিনিষেধের এই আবহেও গোপনে অনুশীলন জারি রেখেছিলেন আফগান মহিলা অ্যাথলেটদের অনেকে। কিন্তু সম্প্রতি তালিবান সরকার তাঁদের অনেককে ফোনে হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ। তালিবানের যুক্তি, মহিলাদের জন্য খেলা জরুরি ব্যাপার নয়। কারণ খেলতে গিয়ে অনেক সময়ই তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ উন্মুক্ত হয়ে যেতে পারে। ইসলামে যা বারণ করা হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours