Himanta Biswa Sarma: “অসমে ৩-৬ লাখ মানুষ আবেদন করবেন সিএএতে”, বললেন হিমন্ত

"সিএএ যে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য, কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়"...
Himanta-Biswa-Sarma
Himanta-Biswa-Sarma

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অসমে ৩ থেকে ৬ লাখ মানুষ সিএএ-র জন্য আবেদন করবেন।” জানিয়ে দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। সপ্তাহখানেক আগেই দেশজুড়ে লাগু হয়েছে সিএএ। নাগরিকত্ব সংশোধনী এই আইনকে হাতিয়ার করেই ভোট কুড়োতে ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তবে সিএএ যে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য, কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, তা বারংবার জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তার পরেও সিএএ নিয়ে রাজনীতি করতে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে বলে অভিযোগ।

প্রসঙ্গ এনআরসি (Himanta Biswa Sarma)

সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “অন্ততঃ পক্ষে পাঁচ লাখ বাংলাভাষী হিন্দু, দু’লাখ আদিবাসী অসমিয়া এবং দেড় লাখ গোর্খা এনআরসিতে বাদ পড়েছেন। এঁদের মধ্যে তিন থেকে ছ’লাখ মানুষ নাগরিকত্ব পেতে সিএএতে আবেদন করবেন।” তিনি জানান, এনআরসিতে অনেকেই বাদ পড়েছেন। নাগরিকত্ব প্রমাণে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে না পারায় বাদ পড়েছেন তাঁরা। তাই সিএএতে আবেদন করার বদলে তাঁরা যাবেন ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে।

প্রসঙ্গ সিএএ

হিমন্ত জানান, সিএএ লাগু হয়েছে গত সপ্তাহে। ১৯ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করতে হবে। আমাদের হাতে প্রায় ৪০ দিন সময় রয়েছে। প্রকৃত ছবিটা বুঝতে এই সময়টা যথেষ্ট। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ইতিমধ্যেই সিএএতে গুজরাটে নাগরিকত্ব পেয়েছে ১৩টি হিন্দু পরিবার। কিন্তু অসমে এখনও পর্যন্ত খুব বেশি মানুষ আবেদন করেননি। অনেক পরিবার, বিশেষত হিন্দু বাঙালি, বাংলাদেশ থেকে অসমে ঢুকেছিল ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পরেও। তাঁদের মধ্যেই অনেকে ফিরে গিয়েছেন।” প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পরে যাঁরা অসমে এসেছেন, তাঁদের শরণার্থী বলে গণ্য করছে না অসম সরকার।

আরও পড়ুুন: গ্যাস, জ্বালানির পর এবার ডালের দাম কমাতেও উদ্যোগী মোদি সরকার

হিমন্ত বলেন, “এরকম অনেক পরিবার রেশন কার্ড নিতে অস্বীকার করেছিলেন। তাই তাঁদের কাছে নথি বলতে রয়েছে কেবল রিফিউজি রেজিস্ট্রেশন কার্ড, যেটা ইস্যু করেছিলেন সীমান্ত কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রতীক হাজেলা (প্রাক্তন এনআরসি কো-অর্ডিনেটর) এনআরসি আপডেট করার সময় এই কার্ড গ্রহণ করেননি। তাই অনেক নাম বাদ গিয়েছে, প্রায় ১৬ লাখ। এনআরসির ফাইনাল ড্রাফট যা প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে, তাতে এঁদের নাম ছিল না।” তিনি (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “তাই আমার মনে হয় সিএএতে আবেদন করবেন এ রাজ্যের ৩ থেকে ৬ লাখ মানুষ।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles