মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) টলমল কংগ্রেস সরকার। এ রাজ্যের একটি মাত্র রাজ্যসভা আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। তার পরেই পদ্মশিবির দেখা করেছে রাজ্যপাল শিবপ্রতাপ শুক্লর সঙ্গে। দাবি জানিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখার বিরুদ্ধে আস্থাভোটের। এদিকে, রাজ্যসভায় বিজেপি প্রার্থী জয়ী হতেই মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিলেন কংগ্রেস নেতা বিক্রমাদিত্য সিংহ।
কী বললেন বিরোধী দলনেতা?
এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে হিমাচল প্রদেশের বিরোধী দলনেতা জয়রাম ঠাকুর বলেন, “জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ থাকা সত্ত্বেও আমাদের প্রার্থী হর্ষ মহাজন রাজ্যসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন। নীতিগতভাবে কংগ্রেসের এই রাজ্যে আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই।” প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই বিজেপি (Himachal Pradesh) দাবি করেছিল সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে হিমাচলের কংগ্রেস সরকার।
জয়ী বিজেপি প্রার্থী
মঙ্গলবার রাজ্যসভা নির্বাচনে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী হর্ষ মহাজন। তিনি পরাস্ত করেছেন কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ অভিষেক মনু সিংভিকে। হিমাচল প্রদেশ বিধানসভার আসন সংখ্যা ৬৮। দু পক্ষই ৩৪টি করে ভোট পাওয়ায় লটারির মাধ্যমে নির্ধারিত হয় জয়-পরাজয়। হিমাচল প্রদেশ বিধানসভায় কংগ্রেসের দখলে রয়েছে ৪০টি আসন। তিন নির্দল প্রার্থীর সমর্থনও রয়েছে কংগ্রেসের সঙ্গে। তবে রাজ্যসভার নির্বাচনে ক্রসভোটিং হয়। কংগ্রেসের ছ জন সহ অন্তত নজন বিধায়কের ক্রসভোটিংয়ের জেরে জয় অনায়াস হয় বিজেপি প্রার্থীর। কারণ এ রাজ্যে বিজেপির বিধায়ক রয়েছেন মাত্র ২৫ জন।
বিজেপির বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী (Himachal Pradesh) সুখবিন্দর বলেন, “আমাদের পাঁচ-ছ জন বিধায়ককে অপহরণ করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফ এবং বিজেপি শাসিত হরিয়ানার পুলিশ।”
এদিকে, এদিন মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়ে বিক্রমাদিত্য বলেন, “মন্ত্রিত্ব আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল হিমাচলের মানুষের সঙ্গে আমার সম্পর্ক।” তিনি বলেন, “সরকার বিধায়কদের উপেক্ষা করেই কাজ করছে। তাঁদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে (Himachal Pradesh)।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours