Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডে গোপন ফাইল গেল কেন্দ্রের কাছে, কী আছে তাতে?

সন্দেশখালিকাণ্ডে ছিল বহিরাগত সমাজবিরোধীরাও!...
sandeshkhali_f
sandeshkhali_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Case) হস্তক্ষেপ করতে চলেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ। খুব শীঘ্রই এনআইএর তরফে দায়ের করা হতে পারে মামলা। সন্দেশখালিকাণ্ডে এখনও অধরা তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। তাঁর খোঁজে হন্যে তদন্তকারীরা।

সন্দেশখালিকাণ্ডে বহিরাগত সমাজবিরোধী যোগ!

তদন্তকারীরা জেনেছেন, সন্দেশখালিকাণ্ডে স্থানীয় দুষ্কৃতীদের পাশাপাশি যোগ ছিল বহিরাগত সমাজবিরোধীদেরও। শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে যেভাবে আক্রান্ত হয়েছেন ইডির আধিকারিকরা, তার নেপথ্যে একটি সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা রয়েছে।

মহিলাদের নির্যাতন

রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় তৃণমূল নেতা শাহজাহানের। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাতে গিয়ে জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। সিআরপিএফের দুই জওয়ানও আহত হন শাহজাহানের ছোড়া ইটের ঘায়ে। এর পরেই গা ঢাকা দেন শাহজাহান। তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন স্থানীয় মহিলারা (Sandeshkhali Case)। জোর করে জমি গ্রাস করার অভিযোগও তোলেন তাঁরা। গত বেশ কয়েক বছর ধরে এই ছিল সন্দেশখালির মহিলাদের দিনলিপি।

আরও পড়ুুন: সন্দেশখালি থেকে নজর ঘোরাতেই খালিস্তানি-ইস্যু তৃণমূলের? পুলিশকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে একটি গোপন ফাইল পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই ফাইলে সন্দেশখালি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য রয়েছে। ফাইল খোলা হলেই, প্রকাশ্যে আসবে সন্দেশখালিকাণ্ডের কালপ্রিটদের নাম। তদন্তের আঁচ লাগতে পারে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গায়েও। সন্দেশখালির ঘটনায় রাজ্যের পাঁচ আইএএস-আইপিএসকে তলব করেছিল লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটি। ঘটনার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। তাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সন্দেশখালি এলাকা থেকে সীমান্ত খুব দূরে নয়। জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির ঘটনার যাবতীয় কিছু লুকোনো রয়েছে শাহজাহান ও তাঁর দুই শাগরেদের কাছে।

শাহজাহানের শাগরেদরা গ্রেফতার হলেও, তৃণমূল নেতা অধরা। স্থানীয়দের একাংশের মতে, শাহজাহানই হল মূল চক্রী। উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরা নামে শাহজাহানের ওই দুই শাগরেদ (Sandeshkhali Case) সুন্দরী মহিলাদের খোঁজে বাড়ি বাড়ি যেত বলে অভিযোগ। পরে দলীয় মিটিংয়ের অছিলায় পার্টি অফিসে ডেকে পাঠানো হত তাঁদের। কিছুক্ষণ রাজনৈতিক কর্মসূচির কথা বলার পর তাঁদের মধ্যে বাছাই করা কয়েকজনকে নিয়ে তাঁরা চলে যেতেন পার্টি অফিসে কিংবা বাগানবাড়িতে। তার পর শুরু হত নির্যাতন। যা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali Case)।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles