Lok Sabha Election 2024: প্রথমে দেব, এবার মিমি! পদত্যাগের হিড়িক তৃণমূলের তারকা-সাংসদদের, কেন?

Mimi Chakraborty: ‘‘অনেক অপমান সহ্য করেছি’’! মমতাকে বিস্ফোরক চিঠি মিমির...
parliament_-_2024-02-16T100825051
parliament_-_2024-02-16T100825051

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনীতি ছাড়তে চান! লোকসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বুঝিয়ে বললেন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। পাঁচ বছর ধরে সাংসদ পদে রয়েছেন মিমি। যাদবপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র থেকে তাঁকে টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল। এবার চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতার কাছে ক্ষোভের কথা জানিয়ে চিঠি দিলেন অভিনেত্রী-সাংসদ। প্রথমে দেব, এবার মিমি! কেন তৃণমূলের একের পর এক তারকা-সাংসদ পদত্যাগ করছেন? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।

মিমির চিঠি মমতাকে

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠান মিমি। সূত্রের খবর, চিঠিতে মিমি জানিয়েছেন রীতিমতো মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন তিনি। কখনও মঞ্চে, কখনও ফোনে, কখনও অন্যভাবে তাঁকে অপমান সহ্য করতে হয়েছে বলেও দাবি করেছেন মিমি। শুধু অপমান নয়, উপেক্ষাও নাকি সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে। সেই যন্ত্রণার কথা বলে শেষ করতে পারবেন না, এমনটাও দাবি করা হয়েছে চিঠিতে। তবে, কার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিমির? কে তাঁকে অপমান করেছেন? চিঠিতে সে কথা উল্লেখ করেননি মিমি। এরপরই বৃহস্পতিবার বিধানসভায় ডাকা হয়েছিল মিমি চক্রবর্তীকে। 

কী বললেন মিমি

বিধানসভা থেকে বেরিয়ে মিমি জানিয়েছেন, এখনও মমতা তাঁর ইস্তফার বিষয়ে সম্মতি জানাননি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত পেলে তিনি লোকসভার স্পিকারের কাছে গিয়ে ইস্তফাপত্র দেবেন। মিমি বলেন—‘‘আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতি আমার জন্য নয়। কারণ, রাজনীতি করলে আমার মতো মানুষকে গালাগালি দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে যায় লোকে। আমি জেনেশুনে জীবনে কারও কোনও ক্ষতি করিনি। আমি রাজনীতিক নই। কখনও রাজনীতিক হবও না। সব সময় আমি কর্মী হিসাবে মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছি। আমি অন্য দলের কারও বিরুদ্ধেও কখনও খারাপ কথা বলিনি।’’ 

আরও পড়ুন: আজ শুরু উচ্চমাধ্যমিক, জেনে নিন কী কী নিয়ম আছে?

রাজ্য রাজনীতিতে নানা প্রশ্ন

সম্প্রতি অভিনেতা দেব রাজনীতি ছাড়তে চেয়েছিলেন আর এবার মিমির গলায় একই সুর। দেবকে কোনও মতে মানাতে সক্ষম হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু, রাজ্যের শাসক দলের তারকা-সাংসদরা কেন এমন পদক্ষেপ নিচ্ছেন? নেপথ্যে দলের এক শ্রেণির নেতাদের 'অত্যাচার'? স্থানীয়দের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হওয়ার জের? নাকি, দলের ভাবমূর্তি এখন তলানিতে ঠেকে যাওয়ায়, নিজেদের ভাবমূর্তি বা ব্র্যান্ড-ইমেজ বাঁচাতে ব্যস্ত এই তারকা-সাংসদরা? তৃণমূলের অন্দরে যে ক্ষোভের চোরাস্রোত বইছে, এটা কি তারই ইঙ্গিত? রাজ্য-রাজনীতিতে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে এমনই নানা প্রশ্ন।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles