মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতীকী অস্ত্রসমর্পণের কথা ঘোষণা করলেন অসমের জঙ্গিগোষ্ঠী আলফার (Assam) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অরবিন্দ রাজখোয়া। মঙ্গলবার সংগঠনের বিলুপ্তির কথাও ঘোষণা করেন তিনি। তবে আলফার আলোচনাপন্থী শিবির এই পদক্ষেপ করলেও, সংগঠনের অন্য অংশের নেতা পরেশ বরুয়ার শিবির এখনও বদ্ধপরিকর ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে। প্রসঙ্গত, দিন পঁচিশেক আগেই কেন্দ্র ও অসম সরকারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয় আলফার। সেই মতো পদক্ষেপ করল সংগঠনের আলোচনাপন্থী শিবির।
আলফার জন্ম
স্বাধীন অসমের দাবিতে ১৯৭৯ সালের এপ্রিল মাসে জন্ম হয় আলফার। তার পর থেকে এ পর্যন্ত নানা রক্তক্ষয়ী ঘটনা ঘটিয়েছে এই সংগঠন। গত ২৯ ডিসেম্বরে অসম ও কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সংগঠনের আলোচনাপন্থীরা। সেই মতো এদিন লুপ্ত করে দেওয়া হল সংগঠনের অস্তিত্ব। রাজধানী গুয়াহাটি থেকে পঞ্চান্ন কিলোমিটার দূরে সিপাঝাড়ে সংগঠনের চূড়ান্ত সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার পরেই তা ঘোষণা করা হয়। রাজখোয়া বলেন, “দিল্লিতে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুসারে আজকের বৈঠকে সংগঠন ভেঙে দেওয়ার ও লুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, সংগঠনের ওপর রাষ্ট্রদ্রোহের সমস্ত মামলা তুলে নেওয়া হবে।”
চুক্তির শর্ত
আলফার (Assam) মোট সদস্য সংখ্যা ৭০০। এর মধ্যে আলোচনাপন্থী শিবিরে রয়েছেন ৫০০ জন। চুক্তির শর্তে বলাই ছিল, হিংসার পথ ছাড়বে আলফা। সমর্পণ করবে সব অস্ত্রশস্ত্র-গোলাবারুদ। এক মাসের মধ্যে ভেঙে দেওয়া হবে সশস্ত্র সংগঠনটি। ২০১১ সালে আলোচনা শুরুর পর যে ৯টি শিবিরে আলফা কর্মী ও তাঁদের পরিবার অবস্থান করছিলেন, সেগুলিও খালি করতে বলা হয়েছে সংগঠনটিকে। আলোচনাপন্থীদের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি মাসের শেষের দিকে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের জিম্মায় থাকা অস্ত্রশস্ত্র তুলে দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের হাতে। রাজখোয়া বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি যে মীমাংসায় উল্লিখিত বিষয়গুলি এবং কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যেসব প্রতিশ্রুতি আমাদের দিয়েছে, তা পূরণ করা হবে।”
আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির সেই তৃণমূল নেতার বাড়িতে ইডির হানা, শাহজাহান কোথায়?
উল্লেখ্য, রাজখোয়া, অনুপ চেতিয়া, শশধর চৌধুরীর মতো নেতা শান্তি প্রক্রিয়ায় শামিল হলেও, এখনও ধরা-ছোঁওয়ার বাইরে পরেশ। শান্তিচুক্তির বিরোধিতা করে জারি করে চলেছে বিবৃতি। মায়ানমারে ঘাঁটি গেড়ে ভারতে চালিয়ে যাচ্ছে (Assam) নাশকতা। চিন তাকে মদত জোগাচ্ছে বলে অভিযোগ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours