Panihati: তৃণমূলের তোলাবাজির রাজনীতির বলি দলেরই কর্মী, টাকা না পেয়ে পিটিয়ে খুন

পানিহাটির ঘোলায় তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন! কেন জানেন?
Untitled_design_(55)
Untitled_design_(55)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলতেন বিরোধীরা। তোলা না দিলেই হামলা করার অভিযোগ উঠত শাসক দলের বিরুদ্ধে। এবার সেই তাদের তৈরি ফাঁদে পড়ে মর্মান্তিক পরিণতি হল এক তৃণমূল কর্মীর। তোলার টাকা না দেওয়ায় তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন করা হল। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পানিহাটির (Panihati) ঘোলা থানার অপূর্বনগর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অভিজিৎ বিশ্বাস। এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে তিনি পরিচিত। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে ঘোলা থানায় খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে, ঘটনা তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Panihati)

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পানিহাটির (Panihati) অপূর্বনগরে ওই তৃণমূল কর্মীর চানাচুরের কারখানা রয়েছে। দল করার পাশাপাশি তিনি ব্যবসা করতেন। বাদল মণ্ডল ও তাঁর লোকজন এলাকায় অসামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত বলে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ। এই বাদল মণ্ডল অভিজিৎ বিশ্বাসের কাছে ২ লক্ষ টাকা তোলা চান বলে অভিযোগ। বেশ কিছুদিন ধরে তোলা চাওয়া নিয়ে অভিজিতের সঙ্গে তাদের ঝামেলা হয়েছে। অভিজিৎবাবুর স্ত্রী মৌ বিশ্বাস বলেন, এলাকার কিছু দুষ্কৃতী আমার স্বামীকে হুমকি দিত। তোলার টাকা চাইত। কয়েকদিন ধরে ওকে বাড়ি থেকে বের হতে দিইনি। রবিবার বাবাইদা বলে এক তৃণমূলে ওকে ডেকেছিল বলে আমার স্বামী গিয়েছিলেন। পরে, মেয়ের জন্য কিছু জিনিসপত্র কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তাতে আমার স্বামীকে বেধড়ক মারধর করে ওই দুষ্কৃতীরা। পরে, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

তৃণমূল কর্মীর দাদা কী বললেন?

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্বজিৎ বিশ্বাস বলেন, অভিজিৎ আমার মামার ছেলে। রবিবার রাতে বাইকে করে আমরা বাড়ি ফিরছিলাম। পাড়ার কাছে বাদল, অর্জুন সহ কয়েকজন আমাদের পথ আটকায়। আমি অভিজিৎকে কথা না বলে বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু, ও শুনল না। আমি বাইক থামাতে পাশের গলি থেকে সাত-আট জন বেরিয়ে এসে আমাকে বেধড়ক মারতে শুরু করে। আমি মাথায় চোট পাই। অভিজিৎ ছুটে পালাতে গেলে ওকে ঘিরে ধরে। আমি সেখান থেকে কিছুটা দূরে চলে যাই। এরপর ঘটনাস্থলে ফিরে গিয়ে দেখি, ভাইকে ওরা বেধড়ক মারছে। ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করছে। আশপাশের লোকজন আসতেই হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। বাদল ও তাঁর লোকজন এলাকায় দুষ্কৃতীরাজ কায়েম করে রেখেছে। অভিজিতের কাছ থেকে তোলার টাকা না পেয়ে ওরা এই কাজ করেছে। আমরা এই ঘটনা তীব্র নিন্দা করছি। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক  শাস্তি দাবি করছি।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles