CEC ECS Bill: রাজ্যসভায় ধ্বনি ভোটে পাশ হল মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিল

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিল নিয়ে কী বলছে সরকার?
new_parliament_f
new_parliament_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে গেল মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিল (CEC ECS Bill)। মঙ্গলবার বিলটি পেশ হয়েছিল রাজ্যসভায়। সেখানেই পাশ হয় বিলটি। মার্চ মাসেই নির্বাচন কমিশন গঠনে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশে বলা হয়েছিল, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সহ অন্য কমিশনার নিয়োগের দায়িত্বে থাকা কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতার সঙ্গে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিও।

ধ্বনিভোটে পাশ বিল

ওই কমিটি থেকে প্রধান বিচারপতির নাম বাদ দিতে অগাস্টেই বিল এনেছিল সরকার। সেই বিলেই কিছু সংশোধন করে এদিনই তা পেশ করা হয় সংসদে। ১৯৯১ সালের আইন অনুযায়ী এতদিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের (CEC ECS Bill) নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও ধারা ছিল না। সেই আইন বদল করতেই পেশ করা হয় নয়া বিল। এদিন যা ধ্বনিভোটে পাশ হয়ে গেল সংসদের উচ্চকক্ষে।

সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা

প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ পদে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। মামলার নিষ্পত্তি ঘটাতে গঠিত হয়েছিল বিচারপতি অজয় রাস্তোগী, কেএম জোসেফ, অনিরুদ্ধ বোস, সিটি রবিকুমার এবং হৃষিকেশ রায় – এই পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। সংবিধানের ৩২৪ নম্বর ধারার অধীনে এই বিষয়ে আইন প্রণয়ন করা অনিবার্য প্রয়োজনীয়তা বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। বেঞ্চ জানায়, “গণতন্ত্র জনগণের ক্ষমতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত... গণতন্ত্র সাধারণ মানুষের হাতে শান্তিপূর্ণ বিপ্লবকে সহজতর করে তুলবে। তবে সেজন্য নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হতে হবে। কোনও দুর্বল নির্বাচন কমিশন তাদের আসল দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। ক্ষমতা দখলই অনেক সময় রাজনৈতিক দলগুলির মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু গণতন্ত্রে সরকারের কার্যক্রম ন্যায়পরায়ণ হওয়া উচিত।”

আরও পড়ুুন: প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সাত সকালেই আয়কর হানা

এদিন সরকারের তরফে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। তিনি বলেন, “আগের আইনে কিছু দুর্বলতা ছিল। তাই তা বদলে নয়া আইনের প্রয়োজন ছিল। যে কেউই ভারতের নির্বাচন কমিশনার (CEC ECS Bill) হতে পারেন। কিন্তু সেই পদে বসার জন্য নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।”

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

 
 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles