Israel Hamas War: হামাসকে আইসিসের সঙ্গে তুলনা বাইডেনের, ইজরায়েল যাচ্ছেন মার্কিন বিদেশ সচিব

Israel At War: তেল আভিভে পৌঁছল অস্ত্রভর্তি মার্কিন বিমান, ভূমধ্যসাগরে মোতায়েন মার্কিন কেরিয়ার গ্রুপ! ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে কি যোগ দিল আমেরিকা?
biden-blinken-on-israel
biden-blinken-on-israel

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে (Israel Hamas War) এখন তোলপাড় পশ্চিম এশিয়া। সেখানকার আকাশে-বাতাসে এখন বারুদের গন্ধ। চারদিকে ধ্বংসের ছবি। এবার কি সেই যুদ্ধে যোগ দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র? এই প্রশ্নটা উঠছে, কারণ সোমবারই ইজরায়েলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন। আর বুধবার, ইজরায়েলের রাজধানী তেল আভিভে পৌঁছল অস্ত্রবোঝাই মার্কিন সামরিক বিমান। জানা যাচ্ছে, এই বিমানে অত্যাধুনিক সামরাস্ত্র রয়েছে, যা হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইজরায়েলকে দিচ্ছে ওয়াশিংটন। পাশাপাশি, হামাসের তথাকথিত মিত্র বলে পরিচিত— লেবানন, সিরিয়া, ইরানের ওপর নজর রাখতে ভূমধ্যসাগরে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে মার্কিন বিমানবাহী রণতরীর একটি আস্ত ফ্লিট। যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত মার্কিন বাহিনী। অন্যদিকে, এদিনই ইজরায়েলে পৌঁছচ্ছেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সব মিলিয়ে যুদ্ধে মার্কিন ভূমিকা কী হতে চলেছে, সেই নিয়ে তুমুল জল্পনা আন্তর্জাতিক মহলে।

হামাস-হামলাকে ‘‘শয়তানের কাজ’’ উল্লেখ বাইডেনের

শনিবার ভোরবেলা ইজরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস বাহিনী। হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজা থেকে ইজরায়েলে উড়ে আসে হাজার হাজার রকেট। ইজরায়েলে ঢুকে শতাধিক মানুষকে পণবন্দি করে হামাস জঙ্গিরা। নির্বিচারে হত্যালীলা চালানো হয়। যাতে ১২০০ ইজরায়েলিদের পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৪ মার্কিন নাগরিকেরও। এর পরই হামাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েলকে (Israel Hamas War) পূর্ণ সহযোগিতার ঘোষণা করে মার্কিন প্রশাসন। হামাস বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে যে তারা যে ইজরায়েলের পাশে আছে সেই কথা পরিষ্কার করে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মঙ্গলবার হামাসকে জঙ্গি-গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে একাসনে বসান জো বাইডেন। হোয়াইট হাউস থেকে ইজরায়েল যুদ্ধ নিয়ে বিবৃতি রাখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘এটা সম্পূর্ণরূপে শয়তানের কাজ। সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হামাসের রক্তাক্ত হাত, যাদের লক্ষ্যই হল ইহুদিদের হত্যা করা। ইজরায়েলের পাশে আমাদের দৃঢ় সমর্থন রয়েছে।’’

 

ইজরায়েল পৌঁছল মার্কিন সামরিক বিমান, সাগরে রণতরী 

এটাই নয়। ইজরায়েলকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার কথাও জানিয়ে দেন বাইডেন। তিনি বলেন, ‘‘আয়রন ডোম যাতে ফের পূর্ণ শক্তি ফিরে পায়, তার জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছি। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে নিজেদের শহর ও শহরবাসীকে রক্ষা করার কাজে ইজরায়েলের অস্ত্রাগারে কোনও টান না পড়ে।’’ মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্যের কিছু পরই ইজরায়েলে পৌঁছে যায় অস্ত্রভর্তি তেল আভিভে পৌঁছে যায় (Israel Hamas War)। বুধবার ভোরে আমেরিকার বিমান দেশের দক্ষিণ প্রান্তে নেভাটিম বিমানঘাঁটিতে নামে। তাতে প্রচুর পরিমাণ অত্যাধুনিক অস্ত্র রয়েছে বলে খবর। ইজরায়েলের সহায়তায় পূর্ব ভূমধ্যসাগরে মোতায়েন রয়েছে মার্কিন রণতরী। জানা যাচ্ছে, গোটা ফ্লিট নিয়ে মোতায়েন রয়েছে বিমানবাহী রণরতী ইউএসএস জেরাল্ড এস ফোর্ড। রয়েছে মার্কিন যুদ্ধবিমানও। 

কূটনৈতিক সমর্থন দিতে ইজরায়েলের পথে ব্লিঙ্কেন

সামরিক সাহায্যের পাশাপাশি, ইজরায়েলকে কূটনৈতিক সমর্থনও জানাচ্ছে আমেরিকা। বুধবার রাতে বা বৃহস্পতিবার ইজরায়েলে যেতে পারেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিনকিন। ইজরায়েলি প্রশাসনের একাধিক শীর্ষ আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা তাঁর। ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, তিনি ইজরায়েলের পক্ষে মার্কিন সমর্থনের বার্তা নিয়ে আসবেন। নিজের এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডলে ট্যুইট করে মার্কিন বিদেশ সচিব বলেন, ‘‘কাল আমি ইজরায়েলে যাব। সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করব। একইসঙ্গে এই জঙ্গি হামলার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে (Israel Hamas War) কীভাবে ইজরায়েলকে সহায়তা করা যায়, তা খতিয়ে দেখা হবে। ইজরায়েলের প্রতি আমাদের সমর্থনে কোনও হেরফের হবে না।’’

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles