Jadavpur University: সিনিয়রদের ‘ক্রীতদাস’ হয়ে থাকতে হত! যাদবপুরে র‌্যাগিংয়ের ভয়াবহ চিত্র তদন্ত কমিটির রিপোর্টে

এই ব্লককে ‘মোস্ট নটোরিয়াস’, ‘ফিয়ার-সাইকোসিস’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে...
jadavpur_university_f
jadavpur_university_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্টে। জানা গিয়েছে, ৯ অগাস্ট রাতে মেন হস্টেলের এ-২ ব্লকে ভয়াবহ র‌্যাগিং করা হয়েছিল নদিয়া থেকে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রকে। বাকি ব্লকগুলিতে অল্পবিস্তর র‌্যাগিং হলেও, এই ব্লকটি ছিল ছাত্রদের কাছে ত্রাস। প্রাণভয়ে এই হস্টেলে কখনও নজরদারি করতে আসতেন না স্বয়ং সুপারও।

কী করতে হত 'বাচ্চা'দের?

রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ৬ অগাস্ট থেকে ৯ অগাস্ট পর্যন্ত এই ব্লকের ৫৯, ১০৪, ১০৮, ১১০ এবং ১১৪ নম্বর রুমে ভয়াবহ র‌্যাগিংয়ের আসর বসে। হস্টেলের সিনিয়ররা জুনিয়রদের ‘বাচ্চা’ বলে ডাকেন। এই বাচ্চাদের সবসময় ফুল প্যান্ট পরতে হবে। ঘড়ি পরা চলবে না। চুলের ছাঁট হবে মিলিটারিদের মতো। সিনিয়রদের সামনে ফোনে কথা বলা যাবে না। সিনিয়রদের (Jadavpur University) জলের বোতল ভরে দেওয়া, খাবার কিনে আনা, মদ, বিড়ি, সিগারেট – যখন যা প্রয়োজন এনে দিতে হবে জুনিয়রদের। তাঁদের জামাকাপড় কেচে দিতে হবে। করে দিতে হবে পড়াশোনা সংক্রান্ত অ্যাসাইনমেন্টও।

নগ্ন হয়ে দেখাতে হবে নাচ 

পরিচয় পর্বে জুনিয়রদের পার্শ্ববর্তী পুলিশ কোয়ার্টারের মহিলাদের উদ্দেশে বাংলায় গালিগালাজ করতে হবে। সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে নাচ দেখাতে হবে সিনিয়রদের। কাউকে আলমারির ওপর উঠে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কাউকে আবার দেওয়ালে ঘষতে হবে মুখ। খাটের তলা দিয়ে হামাগুড়ি দিতে হত কাউকে। কাউকে আবার দিতে হত ব্যাঙ-লাফ। পারফর্মেন্স খারাপ হলে বাড়ত র‌্যাগিংয়ের মাত্রা। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে এই ব্লককে ‘মোস্ট নটোরিয়াস’, ‘ফিয়ার-সাইকোসিস’আখ্যা দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের অভিযোগ, এই ব্লকটি ছিল ‘কালেক্টিভ’ নামে একটি ছাত্র সংগঠনের ডেরা।

আরও পড়ুুন: পুরনো সংসদ ভবনের শেষ অধিবেশন! গণেশ বন্দনার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু নতুনের

র‌্যাগিংয়ে যুক্ত পাসড আউট ৬জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করার সুপারিশ করা হয়েছে কমিটির রিপোর্টে। হস্টেলে (Jadavpur University) ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক আরও ২৫ জন প্রাক্তনী ও বহিরাগতের। ইউজি তৃতীয় বর্ষের পাঁচজন পড়ুয়াকে চারটি সেমেস্টারের জন্য সাসপেন্ড এবং হস্টেল থেকে সারাজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হোক। ১১ জন সিনিয়র পড়ুয়াকে দুটি সেমেস্টারের জন্য ক্যাম্পাসে ও সারা জীবনের জন্য হস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হোক। ১৫ জন পড়ুয়াকে একটি সেমেস্টার ও হস্টেল থেকে সারা জীবনের জন্য বহিষ্কার করা হোক। এ-২ ব্লকের মোট ৯৫ জন সিনিয়র পড়ুয়াকে হস্টেল থেকে সারাজীবনের জন্য বহিষ্কার করার সুপারিশও করা হয়েছে।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

 
 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles