National Research Foundation Bill: অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় গবেষণা সংস্থা

কোন গবেষণায় কত অর্থ প্রয়োজন নির্ধারন করবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গবেষণা ফাউন্ডেশনই
modi(19)
modi(19)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে জাতীয় গবেষণা ফাউন্ডেশন (National Research Foundation Bill) তৈরির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল সরকার। জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুযায়ী দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির গবেষণায় নতুন দিশা-নির্দেশ করতে বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন বিল (NRF), ২০২৩ সংসদে পেশে অনুমোদন দিয়েছে। সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনে এই বিল পেশ করা হবে।

জাতীয় গবেষণা ফাউন্ডেশন বিল কী

এই বিলটি (National Research Foundation Bill) সংসদে অনুমোদনের পর এনআরএফ প্রতিষ্ঠিত হবে, জাতীয় শিক্ষা নীতি (NEP)–এর সুপারিশ অনুসারে একটি নিয়ামক সংস্থা দেশে বৈজ্ঞানিক গবেষণার উচ্চস্তরীয় কৌশলগত দিক নির্দেশ করবে। এর জন্য ৫ বছরে (২০২৩-২০২৮) আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সমাজবিজ্ঞানের কোন ক্ষেত্রে, কোন বিষয়ের গবেষণায় কেন্দ্র কত টাকা ঢালবে, তা ঠিক করবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এই সংস্থাই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার তরফে জানানো হয়েছে, পাঁচ বছরে গবেষণায় ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে। এর মধ্যে ৩৬ হাজার কোটি টাকা আসবে বেসরকারি ক্ষেত্র, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প সংস্থা, অনুদান সংস্থার তরফ থেকে। ফলে দেশের, বিশেষত অর্থনীতির অগ্রগতির প্রয়োজন মাফিক গবেষণায় উৎসাহ দেওয়া হবে। যে সব গবেষণায় সমাজের তেমন ‘লাভ নেই’, সেখানে অর্থ অপচয় বন্ধ হবে। 

আরও পড়ুন: নিউমোনিয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচতে শিশুদের মতো বয়স্কদেরও কি টিকা জরুরি?

প্রযুক্তি ও শিল্প ক্ষেত্রের বিষয়ে গবেষণা

তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানান, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও শিল্প ক্ষেত্রের উপযোগী বিষয়ে গবেষণায় জোর দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী পরিচালন বোর্ডের প্রধান হবেন। তাঁর সঙ্গে ১৫ থেকে ২৫ জন বিশিষ্ট গবেষক, শিক্ষাবিদ, পেশাদার থাকবেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টার নেতৃত্বে সংস্থার কার্যকরী পরিষদ কাজ করবে। তাঁরাই গবেষণার দিশানির্দেশে সিদ্ধান্ত নেবেন। বিজ্ঞান-প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহের বক্তব্য, এখন আইআইটি, আইআইএসসি-র মতো সংস্থাই গবেষণার সিংহভাগ অর্থ পায়। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি পায় মাত্র ১০%। নতুন ব্যবস্থায় (National Research Foundation Bill) সেই ছবি বদলাবে বলে তাঁর দাবি। তদিন গবেষণা সংক্রান্ত বিষয়ে নির্ধারণ করত সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ বোর্ড। ২০০৮ সালে তৈরি এই সংস্থাও এবার মিশে যাবে ন্যাশানাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles