Calcutta High Court: নদিয়ায় ‘জমি দুর্নীতি’তে সিবিআই তদন্ত! নির্দেশ হাইকোর্টের

একটি জমি ৫ কোটি, পাশের জমি ৩৬ লক্ষ! রহস্য কী?
calcutta_highcourt
calcutta_highcourt

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় (Nadia) একটি জমি অধিগ্রহণের ঘটনায় সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। পাশাপাশি একই রকম জমিতে দামের আকাশ-পাতাল হেরফের কেন তা সিবিআই-কে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। 

দুর্নীতির অভিযোগ

অভিযোগ, জল সরবরাহের কাজের জন্য নদিয়ার এক ব্যক্তির জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁকে জমির জন্য অনেক কম দাম দেওয়া হয়েছে। বিতর্কের সূত্রপাত নদিয়ার বীরেন্দ্র নাথ ঘোষের জমি ঘিরে। ২০০৯ সালে জল সরবরাহের কাজের জন্য বীরেন্দ্র ঘোষের ৪৪ শতক জমি অধিগ্রহণ করে জনস্বাস্থ্য করিগরি দফতর। বীরেন্দ্রনাথের অভিযোগ, জমি অধিগ্রহণ করা হলেও প্রথমে টাকা পাননি তিনি। তারপরই নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ওই জমির দাম ঠিক করা হয় ৩৬ লক্ষ ৪৭ হাজার ৬৩১ টাকা। জেলা পরিষদ জানায় ২০২৩ এপ্রিলের বর্তমান মূল্য অনুযায়ী ওই দাম ধার্য করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ২২ কোটির কারচুপি! ২১ জন বিএসএনএল কর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের সিবিআইয়ের

সিবিআইকে নির্দেশ

এরপরই হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেন বীরেন্দ্রনাথ ঘোষ। তাঁর মূল অভিযোগ, জমির (land corruption) সঠিক মূল্যায়ণ করেনি নদিয়া জেলা পরিষদ। মামলাকারীর আইনজীবী তুলসী দাস আদালতে জানিয়েছেন, ওই জমি থেকে মাত্র এক মাইল দূরে ৩৯ শতকে একটি জমির মূল্য পাঁচ কোটির উপরে ধার্য করেছে সরকার। প্রতি শতকে ১৫ লক্ষ টাকার বেশি ধার্য করা হয়েছে বলে দাবি আইনজীবীর। বীরেন্দ্রর দাবি, তাঁর জমি বানিজ্যিক জমি। সেক্ষেত্রে জমির দাম প্রতি শতক এক লাখের কম কেন হবে? এরপরই বিচারপতি বিবেক চৌধুরী বলেন, এটি বিভ্রান্তিকর সিদ্ধান্ত। অথবা কোনও দুর্নীতির অঙ্গ। কোনওভাবেই ব্যবসায়িক জমির দাম কম হতে পারে না। নদিয়া জেলা পরিষদের অসৎ উদ্দেশ্য আছে বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles