Coromandel Express Accident: “বিকট আওয়াজ, মালগাড়ির উপর উঠে পড়ল আমাদের কামরা”, বললেন ভাতারের পটু

Coromandel Express Accident: "কাচ ভেঙে কামরা থেকে বেরিয়ে বেঁচে ফিরেছি," বললেন মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরা ৯ জন যাত্রী
Coromandel_Express_Accident
Coromandel_Express_Accident

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করমণ্ডল এক্সপ্রেসে (Coromandel Express Accident) ভয়াবহ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে  পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বামাশোল গ্রামে বাড়়ি ফিরলেন ৯ জন যাত্রী। তাঁরা শুক্রবারই কেরালা যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। একসঙ্গে তাঁরা একটি কামরায় ছিলেন। ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়েন। শনিবার একটি গাড়ি ভাড়়া করে তাঁরা কোনওরকমে বাড়ি ফিরে আসেন। মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরা ৯ জনকে দেখতে এদিন গ্রামে ভিড় উপচে পড়ে।

দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বললেন যাত্রীরা

পটু সেখ নামে এক যাত্রী বলেন," ৩.২০ মিনিট নাগাদ হাওড়া থেকে আমাদের ট্রেন (Coromandel Express Accident) ছাড়ে। আমাদের গন্তব্য ছিল কেরালা। রাজমিস্ত্রির কাজে যাচ্ছিলাম। প্রত্যেকের কনফার্ম টিকিট ছিল। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ আমাদের ট্রেনটি বালেশ্বর স্টেশনে ঢোকে। তারপরও আরও ৪০ কিলোমিটার যায় আমাদের ট্রেন। ট্রেনের গতি ভালই ছিল। আমরা কামরার মধ্যে খোশ মেজাজে গল্প করছিলাম। আচমকাই বিকট আওয়াজ শুনতে পাই। আমাদের কামরাটি কেঁপে ওঠে। তখনই বুঝে গিয়েছি, মৃত্যু অবধারিত। একের পর এক কামরা লাইন থেকে ছিটকে পড়ছে। আমাদের কামরাটি মালগাড়ির উপর উঠে পড়ে। আমরা জানলার কাচ ভেঙে কোনওরকমে বেরিয়ে আসি। বাইরে বেরিয়ে দেখি, মৃত্যু মিছিল। চারিদিকে মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। কেউ বাঁচানোর জন্য চিত্কার করছে। কামরা থেকে বেরিয়ে মৃতদেহের উপর দিয়ে হেঁটে কোনওরকমে লাইনের ধারে এসে বসি। পরে, অন্যদের খোঁজ নিই। ৯ জনই বেঁচে ফিরেছি। আমার হাতে খুব চোট লেগেছিল। ঘটনাস্থলে খেলনার মতো ট্রেনের কামরাগুলি পড়েছিল। আমরা এতটাই আতঙ্কে ছিলাম যে সেখানে বেশিক্ষণ থাকা যাচ্ছিল না। আমরা কোনওরকমে সেখান থেকে হাইওয়ে চলে আসি।"

কীভাবে ঘটনাস্থল থেকে বাড়়ি ফিরলেন?

শেখ নজরুল বলেন,"ভাবতে পারিনি বেঁচে ফিরব। আমাদের ৯ জনের মধ্যে দুজনের চোট গুরুতর। বাকিরা সকলেই জখম হয়েছেন। এই ধরনের ঘটনা আমি কোনওদিন দেখিনি। কত মানুষ মারা গিয়েছে তার হিসেব নেই। চোখের সামনে এসব হতে দেখেছি। আমাদের ট্রেনের (Coromandel Express Accident) একের পর এক কামরা অন্য ট্রেনের উপরে চেপে রয়েছে। গোটা এলাকা মৃত্যুপুরী হয়ে রয়েছে। হাইওয়ের ধারে সারারাত কাটিয়েছি। গ্রামে সুরজ নামে একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। সে আমাদের গাড়ির ব্যবস্থা করে দেয়। সেই গাড়িতে করে আমরা কোনওরকমে বাড়ি ফিরি। এভাবে বাড়ি ফিরতে পারব তা ভাবতে পারিনি।"

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles