মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেভ গার্ল চাইল্ড (Save Girl Child ) বার্তা নিয়ে সারা ভারতের উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রায় দশ হাজার কিলোমিটারের বেশি গাড়ি চালিয়ে বিশেষ যাত্রা করবেন বর্ধমানের মেয়েরা। গত ৭ মে হেমাতপুর এলাকা থেকে পাড়ি দিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের রাজারপুর এলাকার বাসিন্দা শিক্ষিকা সুতপা দাস এবং তাঁর সঙ্গীরা। অবশেষে পৌঁছেছেন তাঁরা লাদাখে। প্রচার অভিযান নিয়ে উচ্ছ্বসিত তাঁরা সকলে।
কেন সেভ গার্ল চাইল্ড (Save Girl Child ) যাত্রা?
গত সোমবারে লাদাখে পৌঁছে সেভ গার্ল চাইল্ডের (Save Girl Child ) বিশেষ বার্তা জনসমক্ষে তুলে ধরে প্রচার চালালেন সুতপা দাস এবং তাঁর সঙ্গীরা। তাঁর সাথে এই ট্রিপে উপস্থিত ছিলেন তপতী দেবনাথ ভৌমিক এবং ঝর্ণা মালাকার নামে আরো দুজন মহিলা। লাদাখ হয়ে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত গাড়ি চালিয়ে সেভ গার্ল চাইল্ড বিষয়ের উপর বিভিন্ন জায়গায় তাঁরা প্রচার চালাবেন বলে জানা গেছে। যাত্রায় বিশেষভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ভারতের জাতীয় পতাকা। এছাড়াও সঙ্গে রয়েছে সেভ দ্যা আর্থ, সেভ দ্যা ফিউচার জেনারেশন, সেভ দ্যা ফিউচার মাদারস-এর বিশেষ পোস্টার। ৪০ দিনের বিশেষ যাত্রায় ১৩ টি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তাঁরা প্রচার চালাবেন। তাঁদের প্রচারের বিষয়, সমাজে নাবালিকাদের বিবাহ বন্ধ করা, ছেলেদের মতন মেয়েদের সমান মর্যাদা প্রদান করা এবং শিশু ও বালিকাদের সমস্ত রকম সামাজিক রক্ষা সুনিশ্চিত করা। এই বিষয় গুলি নিয়ে তাঁরা যাত্রা পথে সারা ভারতে প্রচার চালাবেন বলে জানা গেছে।
যাত্রা পথে শিক্ষিকার বক্তব্য
সেভ গার্ল চাইল্ড (Save Girl Child) যাত্রায় কাশ্মীরে পৌঁছে সুতপা দাস বলেন, বর্তমান সময়ে ভারতের অনেক জায়গায় নাবালিকা মেয়েদের উপর নানান রকম অত্যাচারের কথা আমরা শুনতে পাই। এই নির্যাতন যাতে বন্ধ হয় সেই জন্যই আমাদের বিশেষ যাত্রা। আমরা এখন উত্তর ভারতে রয়েছি, এরপর এই যাত্রা দক্ষিণ ভারতের দিকে করব। ভারতের জন্য সেভ গার্ড চাইল্ড একান্ত প্রয়োজন। মেয়েরা বড় হলেই শুধু বিয়ে নয়, সমাজে কিছু করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই সমাজে মেয়েদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা এই যাত্রায় বিশেষভাবে বলতে চাই, বাড়ির ছেলে-মেয়েদের প্রতি সমান মনোভাবের পরিচয় দিতে হবে সকলকে। তাঁদেরকে জীবনে দাঁড়ানোর সঠিক রাস্তা দেখাতে হবে। সমাজের প্রতি এই দায়িত্ব আমাদের সকলের। তাঁদের এই অভিনব প্রচারে সমাজে বিশেষ বার্তা যাবে বলে মনে করছেন সমাজকর্মীরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours