মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যে কোথাও জলাশয় ভরাট করে কোনও কাজ করা যাবে না। আর সেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে অমান্য করে এবার অবাধে পুকুর ভরাট হচ্ছে খড়দহ পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে। আর এই পুকুর ভরাটকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে শুরু হয়েছে তৃণমূলের (TMC) প্রাক্তন ও বর্তমান কাউন্সিলরের গোষ্ঠীকোন্দল। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
জলাশয় ভরাট নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর ও প্রাক্তন কাউন্সিলরের মধ্যে তরজা
প্রাক্তন কাউন্সিলার সঞ্জীব পাল চৌধুরীর অভিযোগ, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে সরকারি জলাশয় রাতের অন্ধকারে পুরসভার ট্রাক্টর করে খাল সংস্কারের মাটি নিয়ে এসে ভরাট করা হচ্ছে। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের (TMC) বর্তমান কাউন্সিলর মৌসুমী পালের নেতৃত্বে এই জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে এলাকায় ট্রাক্টর ঢোকার শব্দে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। তাই এই ঘটনায় সরব হয়েছে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারাও। যেখানে পুকুর ভরাটের ঘটনা ঘটছে, সেখানে এদিন বিক্ষোভ দেখান প্রাক্তন কাউন্সিলর ও তাঁর অনুগামীরা। প্রাক্তন কাউন্সিলরের আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বর্তমান কাউন্সিলর মৌসুমী পাল। তিনি বলেন, কোনও জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে না। আসলে এলাকায় একটি রাস্তা তৈরি হবে। প্রাক্তন কাউন্সিলর ৫ বছর ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন। এলাকায় কোন উন্নয়ন করেননি। আমি উন্নয়নের কাজ করছি বলে আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন তিনি।
কী বললেন পুরসভার উপ পুরপ্রধান?
তৃণমূল (TMC) পরিচালিত খড়দহ পুরসভার উপ পুরপ্রধান সায়ন মজুমদার বলেন, দুপক্ষের অভিযোগ পুরসভায় জমা পড়েছে। জলাশয় ভরাট করে কোনও উন্নয়নের কাজ পুরসভা বরদাস্ত করবে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরব বিজেপি নেতৃত্ব
পুকুর ভরাট নিয়ে শাসকদলেরই প্রাক্তন ও বর্তমান কাউন্সিলরদের গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনায় শাসক দলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, গোটা রাজ্য জুড়েই বেআইনি কাজের সঙ্গে তৃণমূলের (TMC) লোকজন জড়িত। এসবের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে গর্জে উঠতে হবে। যতদিন যাবে তৃণমূলের এই ধরনের গোষ্ঠীকোন্দল আরও প্রকট হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours