মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার শাহি দরবারে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অফিসে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শুভেন্দু। বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও উপরাষ্ট্রপতি তথা বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন রাজ্যের বাংলার সাংসদরা। তাঁদের নেতৃত্ব দেবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তার ঠিক আগের দিন শাহ-শুভেন্দু বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শুভেন্দু প্রথমে দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। দুজনে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে কথাবার্তা বলেন। পরে শুভেন্দু সাক্ষাৎ করে নাড্ডার সঙ্গে।
শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ...
গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, রাজ্যে ওঠা একের পর এক দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ জানাতেই বেশ কিছুদিন ধরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে সময় চাইছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। অমিত শাহ সময় দিতেই রবিবার রাতে তড়িঘড়ি দিল্লির উড়ান ধরেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সোমবার সকালে সংসদ ভবনে পৌঁছে যান শুভেন্দু। রাহুল গান্ধীকাণ্ডের জেরে বিরোধীদের হইহট্টগোলের ফলে মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের অধিবেশন। ওই সময়ই শুভেন্দু সাক্ষাৎ করেন শাহের সঙ্গে। সূত্রের খবর, ওই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেন্দুর ওই বৈঠকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে কীভাবে দলের কাজকর্ম চালানো যায়, কীভাবে রাজ্যজুড়ে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের কাছে দলীয় বার্তা পৌঁছে দেওয়া যায়, তাঁদের কীভাবে উজ্জ্বীবিত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাজ্যের দুর্নীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয় তাঁদের মধ্যে। এদিন বৈঠকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফের একবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুুন: ‘মন্ত্রিত্ব বাঁচাতেই প্রয়াত বাবাকে চোর বলছেন’, উদয়নকে কটাক্ষ শুভেন্দুর
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনও করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সেখানে নিশানা করেন রাজ্য সরকারকে। তাঁর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। তা সে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাই হোক কিংবা স্বচ্ছ ভারত মিশন, বুয়া ভাতিজার সরকার এই কাজ করছে। শুভেন্দু বলেন, রাজ্য সরকার জমি দিতে না পারায় কলকাতার কাছে আর একটি বিমানবন্দর তৈরি করা যায়নি। তিনি বলেন, বাংলার পরিস্থিতি জঙ্গলরাজের থেকেও খারাপ। দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার সময় ঋণ ছিল ২ লক্ষ কোটি টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৬ লক্ষ কোটি। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগে বাংলায় বেকার ছিল ১ কোটি। এখন তা বেড়ে হয়েছে ২ কোটিরও বেশি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours