মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ এলাকায় শ্মশান এবং শবযাত্রী প্রতীক্ষালয়ের জন্য ৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছেন বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। কিন্তু, তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের টালবাহানার জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও উন্নয়ন (Development) হয়নি। পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বর ব্লকের মন্তেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের লোহার গ্রামে এসে উন্নয়ন (Development) নিয়ে গাফিলতির অভিযোগ তুললেন বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, এত বড় গ্রাম। কিন্তু, এখনও এখানে শ্মশান গড়ে ওঠেনি। অস্থায়ী শ্মশান যাওয়ার যে রাস্তা রয়েছে তা অত্যন্ত বেহাল। অথচ শ্মশান তৈরির জন্য আমি অর্থ বরাদ্দ করেছি। কিন্তু, গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা না দেওয়ার কারণে এখনও এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। বিজেপি সাংসদ লোহার গ্রামে প্রস্তাবিত শ্মশানের জায়গা ঘুরে দেখেন। এলাকাবাসীর সঙ্গে তিনি কথা বলেন। গ্রামে যাওয়ার যে রাস্তা রয়েছে তা অত্যন্ত খারাপ। বেহাল রাস্তা নিয়েও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন,চতুর্দশ অর্থ কমিশনের পর্যাপ্ত টাকা আসছে। কিন্তু, সেভাবে উন্নয়ন (Development) চোখে পড়ছে না। আসলে এই এলাকার উন্নয়ন (Development) নিয়ে তৃণমূল পঞ্চায়েত সেভাবে নজর দিচ্ছে না। সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বিজেপি সাংসদের অভিযোগ নিয়ে কী বললেন পঞ্চায়েতের উপ প্রধান? Development
মন্তেশ্বর পঞ্চায়েতে তৃণমূল ক্ষমতায় রয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, এলাকায় শ্মশান সংস্কারের টাকা বিজেপি সাংসদ দিয়েছে বলে তৃণমূল পঞ্চায়েত কাজ করতে ঢিলেমি করছে। যদিও এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন লোহার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, বছরে দুই একবার পরিযায়ী পাখির মত দশ মিনিটের জন্য সাংসদ এলাকায় আসেন। তাই এলাকার উন্নয়ন ওনার চোখে পড়ে না। মন্তেশ্বর, লোহার এবং সাহাপুর গ্রামের শ্মশানের জায়গার কাগজপত্র মাসখানেক আগেই জমা করা হয়েছে। আর লোহার গ্রামে শ্মশান নয়, প্রতীক্ষালয়ের জন্য তিনি টাকা বরাদ্দ করেছেন। শ্মশানের জন্য তিনি অন্য এলাকায় টাকা দিয়েছেন। আসলে তিনি কোথায় এসেছেন তা তিনি জানেন না। আর বেহাল রাস্তার যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা মাঠে যাওয়ার রাস্তা। গ্রামের রাস্তা নয়। এলাকার রাস্তা করার পর ওই রাস্তা করে দেওয়া হবে।
পরে, মেমারি ২ ব্লকের ঝিকরা গ্রামে পরিদর্শনে যান বিজেপি সাংসদ। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ঝিকরা গ্রামে কবরস্থান সংস্কার ও সীমানা পাঁচিল তৈরির জন্য এলাকাবাসী আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে জায়গা পরিদর্শনে এসেছিলাম। প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours