School: স্কুলে ২৭ জন ছাত্র-ছাত্রীকে পড়াতে ১০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা! কোথায় দেখে নিন

হুগলির কোন্নগর জোড়াপুকুর নগেন্দ্রনাথ কুন্ডু বিদ্যালয়ে ২৭ জন পড়ুয়ার জন্য ১০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। এক সময় পড়ুয়াদের ভিড়ে গমগম করা স্কুল, এখন ছাত্রছাত্রী অভাবে ধুঁকছে।
School_(1)
School_(1)

 মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বাংলা মাধ্যমে পড়ার অনীহা, নাকি অভিভাবকদের ইংরেজি মাধ্যমে ভর্তি করার প্রবণতা? যে কোন কারণেই হোক বাংলা মাধ্যম স্কুল গুলিতে কিভাবে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কমছে তা কোন্নগর জোড়াপুকুরে নগেন্দ্রনাথ কুন্ডু বিদ্যালয়ে (School) গেলেই বোঝা যায়। প্রায় ৫০ বছরের পুরানো স্কুল। এক সময় স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের ভিড়ে গম গম করত। এলাকার অধিকাংশ ছেলেমেয়েরা এই স্কুলেই (School)  পড়শুনা করেছেন। কিন্তু, এখন স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা থাকলেও নতুন করে কেউ আর ভর্তি হতে চায় না। এই স্কুলের (School) পরিকাঠামোতে কোন গলদ নেই। কম্পিউটার প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে মিড ডে মিল সবই চালু। স্কুলে এখন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন ১০ জন। ২ জন শিক্ষা কর্মী রয়েছেন। আর ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২৭ জন। পড়়ুয়ার অভাবে রাজ্যে ৮ হাজারের বেশি স্কুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, আগামীদিনে এই স্কুল সেই পথেই হাঁটছে।

কেন কমছে স্কুলের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা? School

এই স্কুলে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানা হয়। সাধারণত যে স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত রয়েছে, সেখানেই অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের ভর্তির বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এই বিষয় নিয়ে স্কুলের (School) এক শিক্ষিকা দীপান্বিতা চক্রবর্তী বলেন, ২০২১ সালে অন্য স্কুল (School) থেকে বদলি হয়ে এই স্কুলে এসেছি। তখন থেকে স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা কম। আমার মনে হয়েছে, বর্তমান অভিভাবকদের ইংরেজি স্কুলে পড়ানোর প্রবণতা বাড়ছে। সেই কারণে শুধু এই স্কুলে (School)  নয় সারা রাজ্যের বাংলা মিডিয়াম স্কুলগুলি ধুঁকছে। অভিভাবকরা সাধারণত চেষ্টা করেন পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি করিয়ে একেবারে উচ্চমাধ্যমিক অবধি একই স্কুলে (School) রেখে দিতে। কিন্তু এই স্কুলে (School)  সেই ব্যবস্থা নেই। স্কুলের মাঠের অবস্থাও ভাল না। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। পঠনপাঠনকে সর্বাগ্রে গুরুত্ব দেওয়া হয়। আশা রাখব, ভবিষ্যতে এই অবস্থা থাকবে না।

স্কুলটি কোন্নগর পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে পড়ে। স্থানীয় কাউন্সিলর বাবলু পাল বলেন, এই স্কুল বহু পুরোনো। বর্তমানে এর গরিমা হারালেও একসময় এই স্কুল রমরম করে চলতো। আসলে বিগত সরকারের ভ্রান্ত শিক্ষানীতি, প্রাথমিক স্তরে ইংরেজি উঠিয়ে দেওয়া এবং বর্তমানে শিক্ষায় ইংরেজির গুরুত্ব ,সব কিছু ধরে দেখা যাবে এখনকার অভিভাকরা চাইছেন ছেলেমেয়েরা ইংরেজি ভালো করে শিখুক। তাই তারা বিভিন্ন ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে (School) ভর্তি করাতে চান। সেই জন্যই এই ধরণের বাংলা মিডিয়াম স্কুলগুলি ডুবছে। দুঃখের বিষয় যাঁরা শিক্ষক হওয়ার জন্য ধর্ণা দিচ্ছেন তাঁরাই আবার তাঁদের উত্তরসূরি দের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে দিচ্ছেন। কি আর হবে?

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles