Shantanu Banerjee: বালি পাচারের সঙ্গেও যুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়! কীভাবে জড়ালেন এই কারবারে?

Shantanu Banerjee: কুন্তল ঘোষের পরে হুগলির তৃণমূল নেতা শান্তনু ব্যানার্জিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করেছে ইডি।
Santanu_Banerjee
Santanu_Banerjee

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Shantanu Banerjee)। তিনদিনের ইডি হেফাজতে আপাতত তীক্ষ্ণ প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হচ্ছেন হুগলির তৃণমূল নেতা। আর তাঁকে জেরা করতেই প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক তথ্য। তাঁর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ও কোটি কোটি টাকার উৎস কি, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি অবৈধ কারবারেও হাত পাকিয়েছিলেন শান্তনু। বালি পাচারেও নাকি যোগ রয়েছে এই তৃণমূল নেতার, সূত্রের খবর।

বালি পাচারেও যোগ শান্তনুর

সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগের পাশাপাশি বালি খাদান থেকেও তিনি বেআইনি ভাবে কোটি কোটি টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ উঠছে। হুগলি জেলার একাধিক বালি খাদানে তাঁর যোগ রয়েছে। বিশেষ করে গোঘাট, আরামবাগ, পুড়শুড়া এমনকী বর্ধমানেও বেশ কয়েকটি বালি খাদানে  তাঁর অংশ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই বালির কারবার চলত মুণ্ডেশ্বরী, দামোদর ও দ্বারকেশ্বর নদীতে। এক প্রকার বালি লুট করে পাচার করে দেওয়া হত বলে অভিযোগ। আরও জানা গিয়েছে, এই সমস্ত বালি খাদান গুলিতে তাঁর অনুগামীরাই কাজ করত এবং কালেক্টর হিসাবে টাকা তুলে তৃণমূল নেতা শান্তনু ব্যানার্জির হাতে তুলে দিত। সেই টাকাতেই সামান্য মোবাইলের দোকানদার থেকে কোটিপতি হন বলে অভিযোগ।

কীভাবে শুরু হয় বালি পাচারের কারবার?

জানা গিয়েছে, শাসকদলের এক দাপুটে নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Shantanu Banerjee)। একসময় তাঁর দাপটে আরামবাগের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল। অথচ পুলিশ নীরব ছিল। শান্তনুর দাপট এতটাই ছিল যে পুলিশ প্রশাসন পর্যন্ত নীরবে সব দেখেও না দেখার ভঙ্গিতে বসে থাকত। জানা গিয়েছে, এই আরামবাগকে টার্গেট করেছিল প্রায় ১৫ বছর আগে। প্রথমেই তিনি মোবাইল ব্যবসা করলেও বিদ্যুৎ দফতরে  ক্যাসিয়ার হিসাবে খানাকুলের রাজহাটিতে কাজ করতে শুরু করেন। তারপরই ধীরে ধীরে তৃণমূলের দাপুটে নেতা হিসেবে তাঁর উত্থান ঘটে। সেই উত্থানের মধ্যেই খানাকুলে বসে আরামবাগ মহকুমায় বালি ব্যবসার ছক করেন বলে অনুমান। আরামবাগে কীভাবে বালি মাফিয়ারাজ চালানো যায় সেই বিষয়ে পরিকল্পনা করেন বলে দাবি এলাকার মানুষের। এরপর তিনি বলাগড়ে পোষ্টিং নিয়ে চলে যান এবং দফতরে কাজ শুরু করেন। এরপরেই কোনও বড় নেতার ছত্রছায়ায় থেকে হুগলি জেলার যুব সভাপতি হন। তারপর ধীরে ধীরে প্রভাব বিস্তার করে বালি মাফিয়ার সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন বলে অভিযোগ।

বিজেপির প্রতিক্রিয়া

তৃণমূল নেতা শান্তনু ব্যানার্জির (Shantanu Banerjee) বালি পাচার নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপি নেতৃত্ব শান্তনুর বালি কারবার যোগ নিয়ে সরব হন। সবমিলিয়ে এখন এলাকায় নিয়োগ দুর্নীতির ছায়ার পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশের ব্যাপক ক্ষোভ এই বালি মাফিয়ারাজ নিয়ে।

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles