মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Santanu Banerjee) মামলায় নয়া মোড়। এবার এই মামলায় হুগলির যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার করেছে ইডি। ২০ জানুয়ারি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলাগড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি।
শুক্রবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে হাজিরা দেন তৃণমূল নেতা তথা হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Santanu Banerjee) । ইডি সূত্রে খবর, তাঁর কাছ থেকে সম্পত্তির হিসাব সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠায় ইডি। শুক্রবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ এর পর শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে করেছে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
জানা গিয়েছে, শান্তনুর (Santanu Banerjee) বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি পেয়েছেন গোয়েন্দারা। হেফাজতে নিয়ে তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। সেই কারণে তাঁকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত। শান্তনুর মাধ্যমেই তাপস মণ্ডল ও কুন্তল ঘোষের মধ্যে যোগাযোগ হয়েছিল জানতে পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন: গ্রুপ সি- র বাতিল হওয়া তালিকায় মুখ্যমন্ত্রীর ভাইঝি!
গত ২০ জানুয়ারি শান্তনুর (Santanu Banerjee) হুগলির বলাগড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। এর আগেও তাঁকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার এবং তাঁর বাড়িতে তল্লাশির দিনই শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুগলির বাড়িতেও তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, ৪০ বছরের এই যুবনেতা হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষও। গত জানুয়ারির ২০ তারিখে বলাগড়ের বাড়ি থেকে বেশ কিছু অ্যাডমিট কার্ড ও ৩০০ চাকরিপ্রার্থীর নথি পাওয়া গিয়েছিল। ৬-৭ বার ইডি তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকেও পাঠায়।
শুক্রবারও সকাল ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Santanu Banerjee) সিজিও কমপ্লেক্সে আসেন। প্রায় ৭ ঘণ্টা ধরে চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। ইডি সূত্রে খবর, এদিনই তাঁর শারীরিক পরীক্ষার জন্য সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের করা হবে। ইতিমধ্যেই শান্তনুকে নিয়ে বেশ কিছু তথ্য উঠে আসছে ইডির হাতে।
+ There are no comments
Add yours