DA: প্রভাব পড়বে জেলায় জেলায়! বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আজ ধর্মঘটে সরকারি কর্মীরা

শুক্রবারে যে পড়ার ক্ষতি হবে, সেটা কোনও একটি ছুটির দিনে আমরা পড়িয়ে দেব...
DA_Protest
DA_Protest

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে আজ, শুক্রবার ধর্মঘট পালন করবেন সরকারি কর্মীরা। যার জেরে এদিন স্কুল-কলেজ-অফিস-কাছারিতে কাজকর্ম না হওয়ারই সম্ভাবনা। যদিও ধর্মঘট রুখতে ফের একপ্রস্ত কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার (State Government)। স্বাভাবিকভাবেই ডিএ ইস্যুতে রাজ্য এবং সরকারি কর্মীদের সংঘাত আরও তীব্র হতে চলেছে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

ডিএ-র (DA) দাবিতে ধর্মঘট রুখতে কড়া রাজ্য...

বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে ফেব্রুয়ারি মাসে দু দিনের কর্মবিরতি পালন করেছেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারিরা। তার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তার জেরে ১০ মার্চ রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৩৬টি সরকারি কর্মচারি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। রাজ্য সরকারের কড়া নির্দেশিকা উপেক্ষা করে ধর্মঘটে অনড় রয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের তরফে জারি করা আরও এক দফা নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শুক্রবার কোনওভাবেই পূর্ণ বা অর্ধ দিবস ছুটি নেওয়া যাবে না। ধর্মঘটে শামিল হলে কর্মজীবন থেকে বাদ যাবে একদিন। সেই সঙ্গে করা হবে শোকজ।  

এদিকে, শুক্রবারের ধর্মঘট যাতে সফল হয়, সেজন্য বৃহস্পতিবারই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পথসভা করেছেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার প্রস্তাবিত ধর্মঘটের দিন সকাল সাড়ে ন’টা থেকে সব সরকারি কার্যালয়ের সামনে পিকেটিং করবেন তাঁরা। যাঁরা অফিস-কাছারিতে আসবেন, তাঁদের ধর্মঘটে শামিল হওয়ার অনুরোধও জানানো হবে। তবে যাঁরা কাজ করতে আগ্রহী, তাঁদের আটকানো হবে না বলেই জানান রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক স্তর থেকে আমরা বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হয়েছি। শুক্রবার যাঁরা কাজে যোগ দেবেন না, তাঁদের সোমবার কার্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না, এমন হুমকিও দেওয়া হয়েছে কোথাও কোথাও। তবে আমাদের সদস্যরা ধর্মঘট সফল করতে বদ্ধপরিকর।  

আরও পড়ুুন: কুন্তলের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে গাড়ি কিনেছিলেন বনি! কী বললেন টলি অভিনেতা?

এবিটিএ-র জেলা সম্পাদক আশিস বিশ্বাস বলেন, তৃণমূলের ছত্রছায়ায় থাকা কিছু শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী ছাড়া সকলেই এই ধর্মঘটে (DA) অংশগ্রহণ করবেন। তবে ছাত্রছাত্রীদের কোনও ক্ষতি হোক, এমনটা আমরা চাই না। তাই শুক্রবারে যে পড়ার ক্ষতি হবে, সেটা কোনও একটি ছুটির দিনে আমরা পড়িয়ে দেব। তিনি বলেন, সরকার নির্দেশিকা জারি করলেও, কখনও মাইনে কাটার বা কর্মদিবস কমিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করার সাহস দেখাতে পারেনি।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

 
 

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles