মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত কাটলেই রঙের উৎসব। তার আগে তাপে পুড়ছে তিলোত্তমা। আনন্দোৎসবের মাঝেই অস্বস্তি বাড়াচ্ছে আবহাওয়া (Weather Forecast)। মার্চের শুরুতেই হাঁসফাঁস গরম। ক্রমশ বাড়ছে পারদ। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। আগামিকাল তাপমাত্রার পারদ ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাবে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে। দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলার তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি থাকবে। বাঁকুড়াতে সবচেয়ে বেশি চড়বে পারদ। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পূর্ব বর্ধমানের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। আপাতত সমগ্র দক্ষিণবঙ্গের কোথাও বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই।
তবে দোলের সময় বৃষ্টিপাত হতে পারে উত্তরবঙ্গের কিছু। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে সোমবার সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ (Weather Forecast)। আজ ও আগামিকাল বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে পাহাড়ে। দক্ষিণবঙ্গে বেড়েছে দিনের তাপমাত্রা। জেলায় জেলায় হাওয়ার বদল। পশ্চিমের শুকনো ও গরম বাতাস ঢুকছে এরাজ্যে। এর ফলেই পশ্চিমের জেলা সহ সংলগ্ন জেলাগুলিতে বাড়ছে তাপমাত্রা।
আরও পড়ুন: কাটল জট! কেষ্টকে কলকাতায় আনার দায়িত্ব রাজ্য পুলিশেরই, নির্দেশ সিবিআই আদালতের
ঝাড়খন্ড ও ওড়িশায় বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা (Weather Forecast)। এর ফলে ঝাড়খন্ড এবং ওড়িশা সংলগ্ন জেলাগুলিতে আংশিক মেঘলা আকাশ। কোথাও কোথাও মেঘলা আকাশ। বুধবার পুরুলিয়ায় এবং বৃহস্পতি ও শুক্রবার পুরুলিয়া বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রামে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ খুব হালকা বৃষ্টি দু এক জায়গায় সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
উত্তরবঙ্গে আগামী কয়েক দিন বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টি চলবে দার্জিলিং ও কালিম্পংএ। সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। উঁচু পার্বত্য এলাকায় হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা থাকছে আগামী ৪/৫ দিন।
বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৩৪ থেকে ৭৮ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে (Weather Forecast)। একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা রয়েছে উত্তর পশ্চিম ভারতে। আরও একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা নতুন করে আসবে আগামীকাল মঙ্গলবার। একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে গুজরাট থেকে রাজস্থান ও সংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত। আরও একটি অক্ষরেখা রয়েছে দক্ষিণ কঙ্কন থেকে মধ্য মহারাষ্ট্র পর্যন্ত।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours