মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কাই সত্যি হল। ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে ২১ মাস নির্বাসিত হলেন ভারতীয় জিমনাস্ট দীপা কর্মকার। তাঁকে এই শাস্তি দিয়েছে আইটিএম (ইন্টারন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি)। তবে দীপার ডোপ টেস্টে ধরা পড়ার খবর নতুন নয়। ২০২১ সালের অক্টোবরে তাঁর শরীরে পাওয়া গিয়েছে নিষিদ্ধ ওষুধ। তারপর থেকে তিনি কোনও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারেননি। তবে আইটিএ ২১ মাসের জন্য ত্রিপুরার বাঙালি জিমনাস্টকে নির্বাসিত করলেও, তা কিন্তু কার্যকর হবে ২০২১ সাল থেকে। অর্থাৎ চলতি বছরের জুলাইয়ে দীপা নির্বাসনমুক্ত হবেন।
দীপার শরীরে নিষিদ্ধ ওষুধ
দু’বছর আগে ফেডারেশন ইন্টারন্যাশনাল ডি জিমানাস্টিক (এফআইজি) ডোপ পরীক্ষা করার সময় দীপার শরীরে নিষিদ্ধ হাইজিনামিন ওষুধ পেয়েছিল। তার পরেই নির্বাসিত হন দীপা। পরে ভারতীয় জিমনাস্টের আপিলের ভিত্তিতে নমুনা পরীক্ষা করে আইটিএ। সেই রিপোর্টেও দীপার শরীরে নিষিদ্ধ ওষুধ সেবনের প্রমাণ মেলে। এই ওষুধ মূলত অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ানোর কাজ করে। ইন্টারন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি জানিয়েছে, দীপা ইতিমধ্যেই ১৬ মাস নির্বাসনদণ্ড কাটিয়েছে। তাই আরও ৫ মাস তাঁকে শাস্তি কাটাতে হবে। এই সময়ে ভারতীয় জিমনাস্ট কোনও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না। তবে শাস্তি উঠে গেলে দীপা ফের স্বমহিমায় জিমনাস্ট ট্রাকে ফিরতে পারবেন। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকসে অল্পের জন্য ব্রোঞ্জ পদক হাতছাড়া করেছিলেন। তবে তাঁর প্রচেষ্টা বাহবা কুড়িয়েছিল ক্রীড়ামহলে। কিন্তু তারপর থেকে চোট সমস্যায় ভুগেছেন তিনি। চোট সারিয়ে উঠতে না উঠতেই ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে নির্বাসিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: চোখের জলে বিদায়! টেনিস জীবনের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা হল না সানিয়ার
নীরবে প্রস্তুতি
আটিএ’র সিদ্ধান্তের খুশি দীপার কোচ বিশ্বেশর নন্দী। তিনি বলেছেন, ‘আপনারা আবার দীপাকে আগের মহিমায় দেখতে পাবেন। কারণ, জুলাইয়ে নির্বাসন উঠে যাবে। দীপার হাঁটুতে চোট লেগেছিল। এখন রিহ্যাব চলছে। প্রয়োজন পড়লে চিকিৎসার জন্য ওকে বিদেশে পাঠানো হতে পারে।’ দীপা অবশ্য এসব নিয়ে ভাবছেন না। বরং তিনি দারুণভাবে ফিরতে চাইছেন জিমনাস্ট ট্র্যাকে। তাই নীরবে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রস্তুতি। একই সঙ্গে পুরোপুরি চোটমুক্ত হওয়াই তাঁর প্রধান লক্ষ্য।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours