মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে (Shraddha Murder Case) নৃশংসভাবে খুন করে, দেহ ৩৫ টুকরো করেছিল আফতাব আমিন পুলাওয়ালা। ফলে তিহার জেলে দিন কাটছে আফতাবের। তবে কোনওরকমের অনুশোচনা নেই তার। খোশমেজাজেই দিন কাটছে তার। জেলে দিন কাটছে দাবা খেলে ও বই পড়ে। জেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলে শান্তই রয়েছে আফতাব। বেশিরভাগ সময়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখে সে। তার দাবি অনুযায়ী, তাকে একটি বইও দেওয়া হয়েছে। ফলে এইসবেই মজে ‘কিলার’ আফতাব।
কী বই পড়ছে আফতাব?
তিহার জেল সূত্রে খবর, আফতাব (Shraddha Murder Case) ইংরেজি বই পড়তে চেয়েছে। জেল কর্তৃপক্ষের তরফে সেই দাবি মেনে ইংরেজি বই ‘দ্য গ্রেট রেলওয়ে বাজার: বাই ট্রেন থ্রু এশিয়া’ নামক একটি বই দেওয়া হয়েছে আফতাবকে। এটি একটি ভ্রমণের অভিজ্ঞতার বই। এই বই সম্পর্কে জেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, আফতাবকে যে বইটি দেওয়া হয়েছে তা বিদেশি লেখক পল থেরক্সের লেখা। এই বইয়ে কোনও অপরাধের উল্লেখ নেই এবং বইয়ের বিষয়বস্তুও এমন কিছু নয়, যা পড়ে আফতাব তার সঙ্গে থাকা বন্দিদের ক্ষতি করতে পারে।
দাবা খেলায় মজে আফতাব
পুলিশ জানিয়েছে, জেলে বেশির ভাগ সময় আফতাব দাবা খেলে। পুনাওয়ালা দাবা খেলার পরিকল্পনা করে সময় কাটায় ও একা থাকতেই পছন্দ করে। তাকে মাঝে মাঝে দুই জেলবন্দীর সঙ্গে ঝগড়া করতেও দেখা গিয়েছে। উল্লেখ্য, আফতাবের সেলে আরও দুই বন্দি রয়েছে, যারা চুরির অপরাধে অভিযুক্ত। দুইজনকেই জেল কর্তৃপক্ষের তরফে আফতাবের উপরে বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে (Shraddha Murder Case)।
পুলিশ কী জানিয়েছে?
অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছে, আফতাবকে দাবা খেলায় বেশ পারদর্শী মনে হয়েছে। সে নিজেই নিজের প্রতিপক্ষ হিসাবেও দাবা খেলে। তাঁকে হারানো খুবই কঠিন। ফলে তার দাবা খেলার চাল দেখে মনে হচ্ছে, সে কতটা ধূর্ত ও তীক্ষ্ণ মস্তিষ্কের। জেলসূত্রে জানা গিয়েছে, তার দাবা খেলার এক-একটি চাল দেখে মনে হচ্ছে শ্রদ্ধা ওয়ালকরের হত্যাও তার দাবা কৌশলের মতো গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। আবার এই হত্যাকাণ্ডের এক তদন্তকারী জানিয়েছে, পুলিশ তাকে যা করতে বলেছিল তা পুরোপুরি অনুসরণ করেছে। সে তার অপরাধও স্বীকার করেছে, পুলিশকে সহযোগিতা করেছে এবং পলিগ্রাফ ও নারকো টেস্টেও রাজি হয়েছে। কিন্তু এখন তার ‘ভালো’ আচরণেও সন্দেহ হচ্ছে পুলিশের।
উল্লেখ্য, এরই মধ্যে আফতাবের নারকো ও পলিগ্রাফ টেস্ট দুই-ই করা হয়েছ। দুটিতেই সে শ্রদ্ধাকে খুন করার কথা স্বীকার করেছে। এরপর অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালার ব্রেন ম্যাপিংও (Brain Mapping) করতে পারে দিল্লি পুলিশ। ব্রেন ম্যাপিং- এর ফলে ব্রেনের পরিস্কার ছবি পাবেন বিশেষজ্ঞরা। এটি পরবর্তীতে তদন্তে সাহায্য করবে।
+ There are no comments
Add yours