Iran: কয়েক মাসের লড়াইয়ের ফল, ‘নীতি পুলিশ’ তুলে নিচ্ছে তেহরান

তিন মাসেও এই বিদ্রোহ দমন করতে পারেনি ইরানের সরকার।
iran_protest_hijab_mahsa_amini_1200x768
iran_protest_hijab_mahsa_amini_1200x768

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে দাম পেল ইরানের (Iran) জনতার লড়াই। আমজনতার চাপের মুখে 'নীতি পুলিশ' তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হল তেহরান সরকার। মাশা আমিনির মৃত্যুর ঘটনার পর শুরু হয়েছিল লড়াই। সেই লড়াই চলে টানা তিন মাস। বহু প্রাণের বিনিময়ে অবশেষে এল সেই আলোর দিন। ভাঙল শৃঙ্খল। 

হিজাব বিরোধী আন্দোলনের জেরে ইরানে (Iran) প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকশো মানুষ। জনতা এতটাই দেশ বিরোধী হয়ে উঠেছিলেন যে, নিজেদের ফুটবল দলের হারে উল্লাস করতে দেখা যায় ইরানি নাগরিকদের। ফুটবল দলকেও 'সরকারি পক্ষ' ভেবে, ইরানের হারে উল্লাস করা নাগরিকদের ওপরও অত্যাচার চালিয়েছিল সেদেশের পুলিশ। কিন্তু এতেও দমে যায়নি প্রতিবাদ। দেশে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অশান্ত পরিস্থিতিকে শান্ত করতে এবার ‘নীতি পুলিশকে’ নিষিদ্ধ করল ইরান সরকার। এমনটাই জানিয়েছে ইরানের সংবাদ সংস্থা। 

ইরানের সংবাদ সংস্থা আইএসএনএ- কে ইরানের (Iran) কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ জাফর মন্তেজারি জানিয়েছেন, ওই নীতিপুলিশ কোনও দিনই ইরানের কেন্দ্রীয় বিচার ব্যবস্থার অন্তর্গত ছিল না। ইরান সরকার ওই নীতিপুলিশ বাহিনী ‘গস্ত-এ-এরশাদ’কে সম্পূর্ণ ভাবে প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘‘আমার বন্ধু নরেন্দ্র মোদিকে বিশ্বাস কর...’’ কেন বললেন মাক্রঁর, জানেন? 

প্রতিবাদের সূত্রপাত

প্রসঙ্গত, হিজাব নিয়ে ‘নীতি পুলিশির’ জেরে ১৬ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় উত্তর-পশ্চিম ইরানের (Iran) বাসিন্দা বছর ২২-র মাশা আমিনির। তাঁর মৃত্যুর পরই ইরান জুড়ে হিজাব নিয়ে শুরু হয়েছে আন্দোলন। বাধ্যতামূলকভাবে হিজাব পরার আইন বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদীরা তেহেরানের রাস্তায় জড়ো হন। সেখানে তাঁদের চিৎকার করে স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে। ‘হিজাব নয়, স্বাধীনতা ও সাম্য চাই’ – এই ভাষাতেই স্লোগান দেন তাঁরা। পাশাপাশি, অনেক ইরানি মহিলা তাঁদের চুল কেটে ফেলেও সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। 

এখনও পর্যন্ত ইরানি (Iran) সরকারের অত্যাচারে ৪০০ জন প্রতিবাদীর মৃত্যু হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে ১৬,৮০০ জনেরও বেশি। এই গোটা পরিস্থিতির নেপথ্যে রয়েছে কুর্দিশ তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যু। এরপর থেকেই হিজাব বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়েছে সেই দেশ। তিন মাসেও এই বিদ্রোহ দমন করতে পারেনি ইরানের সরকার। এবার সেই বিদ্রোহের আঁচ এসে পড়ল বিশ্বকাপের মঞ্চে। প্রসঙ্গত, আমিনির হিজাব ‘ঠিক ভাবে’ তাঁর মাথায় না থাকায় তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল নীতি পুলিশ। পরে দাবি করা হয়, আমিনি অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মৃত্যু হয় আমিনির। ইরানের নীতি পুলিশ অবশ্য আমিনির মৃত্যুর দায় স্বীকার করেনি। তবে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ ছিল, নীতি পুলিশের অত্যাচারেই মৃত্যু হয় আমিনির। এই আবহে নীতি পুলিশ তুলে দেওয়ার বিষয়টি আন্দোলকারীদের কাছে বড় জয়।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

 
 

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles