Delhi Murder: আফতাবের উপর হামলা! ধৃত ২ জনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ

ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি তলোয়ার উদ্ধার করেছে পুলিশ। হামলাকারীরা যে গাড়িতে করে ঘটনাস্থলে এসেছিলেন, সেটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে
aftab
aftab

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা-খুনে (Delhi Murder) অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালার (Aftab Poonawala) উপর তলোয়ার নিয়ে আচমকা হামলা চালাল দুই ব্যক্তি। সোমবার সন্ধ্যায় পলিগ্রাফ টেস্ট করে ফেরার পথে তরোয়াল নিয়ে তার উপর চড়াও হয় হিন্দু সেনার দুই সদস্য। এই ঘটনাকে কেন্দ্রে করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শূন্য গুলি ছোঁড়া হয় বলে দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর। এই হামলায় আফতাবের কোনও ক্ষতি হয়নি।

আফতাবের উপর হামলা

সোমবার আফতাবকে (Delhi Murder) রোহিনীর ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পলিগ্রাফ টেস্টের (Polygraph Test) জন্য।  সেখান থেকে বেরনোর সময় তরোয়াল হাতে দুই ব্যক্তি তার উপর হামলার চেষ্টা চালায়। হামলাকারীরা নিজেদের হিন্দু সেনার সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। যদিও আফতাবের কোনও চোট লাগেনি। তড়িঘড়ি তাকে প্রিজন ভ্যানে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। প্রিজন ভ্যানের দরজা খুলে হামলার চেষ্টা চালায় তরোয়ালধারীরা।  গাড়িতে থাকা পুলিশকর্মীরাও তাদের প্রতিহত করতে বন্দুক উঁচিয়ে ধরেন। আত্মরক্ষার জন্য শূন্যে গুলিও চালিয়েছে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত ওই অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় দিল্লিতে। 

হামলাকারীদের দাবি

হামলাকারীদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার দু’জনকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি তলোয়ার উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃত দুই হামলাকারীর নাম কুলদীপ ঠাকুর এবং নিগম গুজ্জর। কুলদীপ (৩৪) গাড়ি কেনা বেচার সঙ্গে যুক্ত। ৩২ বছর বয়সি নিগম পেশায় ট্রাক চালক। হামলাকারীরা যে গাড়িতে করে ঘটনাস্থলে এসেছিলেন, সেটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। হামলাকারীদের দাবি, “আফতাব যেভাবে শ্রদ্ধাকে খুন করেছে তাতে ওর বেঁচে থাকার অধিকার নেই। শ্রদ্ধা আমাদের বোন। ওর দেহ ৩৫ টুকরো করেছে। আমরা আফতাবের দেহ ৭০ টুকরো করব।”

আরও পড়ুন: কল্যাণী এইমস মামলায় বিপাকে সিআইডি, তদন্ত চালাতে লাগবে কেন্দ্রের অনুমতি, জানাল হাইকোর্ট

তদন্তের গতি

শ্রদ্ধা (Shraddha Walker) খুনের (Delhi Murder) তদন্ত ইতিমধ্যে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। উদ্ধার হয়েছে 'মার্ডার ওয়েপন'। শ্রদ্ধাকে যে অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়, সোমবার তা খুঁজে বের করেছে দিল্লি পুলিশ। এদিকে আফতাব পুনাওয়ালার পাশাপাশি তার পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। প্রয়োজনে আবার আফতাবের বাড়ির লোককে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলে জানানো হয়েছে। মেয়ের খুনির মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছেন শ্রদ্ধার বাবা।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles