মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খোলার এক সপ্তাহের মধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হল মিঞা মিউজিয়াম (Miya Museum)। আসামের (Assam) গোয়ালপাড়া জেলায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে ওই মিউজিয়াম উদ্বোধন করেছিল অল আসাম মিঞা পরিষদ (All Assam Miya Parishad)। প্রশাসনের দাবি, যে বাড়িটিতে মিউজিয়াম গড়া হয়েছিল, সেটি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকায়, মিউজিয়াম তৈরির জন্য নয়।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, আমি বুঝতে পারছি না, এটা কী ধরনের মিউজিয়াম (Miya Museum)। অসমিয়াদের লাঙল, মাছ শিকারের জিনিসপত্র রাখা হয়েছে এখানে। একমাত্র লুঙ্গি ছাড়া ওদের নিজস্ব কিছুই নয়। এখানে নতুন আছেটা কী? ওদের প্রমাণ করতে হবে লাঙল শুধুই মিঞারা ব্যবহার করেন।
ঊনবিংশ শতকে বাংলাদেশ থেকে ব্রহ্মপুত্রের চরে চাষ করতে আসা মানুষের পরবর্তী প্রজন্ম আসামে মিঞা নামে পরিচিত। এঁরা মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। এঁদেরই কয়েকজন গড়ে তোলেন মিঞা পরিষদ। এই পরিষদের প্রধান মোহর আলি। এই মোহর এবং অন্য এক নেতা আবদুল বাতেনকে আলকায়দা মডিউলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অভিযোগে আটক করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তনু ধাদুমিঞা। তাঁকেও আটক করা হয়েছে। ধাদুমিঞা আম আদমি পার্টির সদস্য।
এই মিউজিয়াম (Miya Museum) গড়তে যে টাকা খরচ হয়েছে, তার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, মিউজিয়াম গড়তে প্রয়োজনীয় অর্থ তাঁরা কোথা থেকে পেলেন, পুলিশ তদন্ত করবে। এটা সমস্ত আসামবাসী কিংবা ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের ভাববার সময় এসেছে। এ ব্যাপারে মামলা করা হবে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মিঞা মিউজিয়ামে লাঙল রাখা হয়েছে। এটা তাঁদের নিজস্ব কীভাবে, যখন শিবসাগরের চাষিরাও ভূমি কর্ষণ করতে লাঙল ব্যবহার করেন? মাছ ধরার যে যন্ত্র তাঁরা মিউজিয়ামে রেখেছেন, তাও তাঁদের নিজস্ব নয়। বিশেষজ্ঞ কমিটির সামনে এসব ব্যাখ্যা দিতে হবে তাঁদের। তিনি বলেন, এমন কী যে স্কার্ফ তাঁরা মিউজিয়ামে (Miya Museum) প্রদর্শন করছিলেন, তাও তো এসেছে দেশি মুসলমানদের কাছ থেকে। এঁরা মিঞা স্কুলও স্থাপন করেছেন। এক বছর আগে আমি যখন এসব নিয়ে বলছিলাম, তখন কিছু লোক এবং বুদ্ধিজীবীরা আমাকে সাম্প্রদায়িক তকমা দিয়েছিল।
+ There are no comments
Add yours