মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারে দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ মদ। তবুও আড়ালে রমরমিয়ে চলছে মদের ব্যবসা, আর এই খবর আগেই শোনা গিয়েছিল। আর সেই জন্যই বিহার সরকারের তরফে এক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষদের মদ খাওয়ার দৃশ্য প্রায়ই সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, শাস্তি দেওয়ার জন্য বিহারের নেশাগ্রস্ত ভিআইপি-দের জন্য বিশেষ সেলের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। জনসমক্ষে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ধরা পড়লে এইসব ভিআইপিদের জন্য শাস্তি হিসেবে একটি ঘরে ২৪ ঘণ্টার জন্য রাখা হবে। আর এই ব্যবস্থা করা হয়েছে বিহারের আবগারি দফতরে।
অর্থাৎ কোনও ভিআইপি যদি মদ্যপ অবস্থায় ধরা পড়েন, তাঁর জন্য রয়েছে ঘরে বন্দি থাকার শাস্তি। বিহারের সমস্তিপুরে যে আবগারি দফতর রয়েছে সেখানে করা হয়েছে এই ব্যবস্থা। এখানে রয়েছে একটি বিছানা, সোফা সেট। রয়েছে এসির ব্যবস্থাও। এই ভিআইপি সেলে মদ্যপ অবস্থায় ধরা পড়া ভিআইপিকে ২৪ ঘণ্টা রাখা যাবে। আবগারি সুপারিনটেনডেন্ট, এসকে চৌধুরী, বলেছেন যে সরকারী কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি এবং সমাজের উচ্চবিত্ত মানুষ যারা মদ সেবন করে ধরা পড়ে তাদের রাখার জন্য ভিআইপি সেল তৈরি করা হয়। তাদের নিরাপত্তার জন্য একটি প্রশিক্ষিত কুকুরও রাখা হবে বলে জানান তিনি।
#WATCH | Bihar: The Excise Department has arranged a VIP ward for VIPs caught intoxicated publically in the state. VIP cells have been constructed in Samastipur Excise Department to keep VIP persons for 24 hours. pic.twitter.com/v85fEDAP62
— ANI (@ANI) October 9, 2022
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের এপ্রিল থেকে বিহারে মদ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মদ পরিবহন, বিক্রি, ব্যবহার এবং উৎপাদনকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলা হয়েছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার পরে, বিপুল সংখ্যক লোককে কেবল মদ সেবনের জন্য জেলে রাখা হয়েছিল। যে রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ, সেখানে নেশাগ্রস্ত ভিআইপিদের জন্য এমন আয়োজনের বিরুদ্ধে আবার সরব হয়েছেন অনেক নেটিজেনরা। তারা বলেছেন যে, সাধারণ মানুষ ও ভিআপিদের মধ্যে ভেদাভেদ কেন করা হবে?
প্রসঙ্গত, এনভি রামানা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি থাকার সময় মদের ওপরে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিহার সরকারের সমালোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ২০১৬ সালে বিহারে মদের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আদালতের ওপরে চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। তারপরেই সেখানে লিকার অ্যামেন্ডমেন্ট বিল আনা হয়। এই বছরের মার্চে তা বিধানসভায় পাশও হয়ে যায়। পয়লা এপ্রিল থেকে যা লাগু হয়েছে। মদ নিষেধাজ্ঞা বিল, ২০২২-এর সংশোধনীতে বলা হয়, প্রথমবারের অপরাধীরা জরিমানা জমা দেওয়ার পরে ডিউটি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে জামিন পাবেন। এই জরিমানার পরিমাণ ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। অপরাধী জরিমানা জমা দিতে না পারলে তাকে এক মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এছাড়াও এই সংশোধনীতে বলা হয়েছে যে, নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের জন্য পুলিশ যখন কোনও অপরাধীকে গ্রেফতার করবে, তখন অভিযুক্তকে সেই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করতে হবে যেখান থেকে সে মদ পেয়েছে। ফলে বিহার সরকার বিহারকে মদহীন করতে একাধিক কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে।
+ There are no comments
Add yours