মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধ মাদ্রাসাগুলি (Illegally-Run Madrassas) মানুষ পাচারের জন্যে ব্যবহার করা হতে পারে, ওগুলোর তদন্ত হওয়া উচিৎ। সম্প্রতি এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh) সরকারের সংস্কৃতি, পর্যটন এবং আধ্যাত্মবাদের মন্ত্রী ঊষা ঠাকুর (Usha Thakur)। এক সাংবাদিককে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এই কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, "সম্প্রতি এক সমাজসেবী সংস্থা ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে এনেছে। তাদের দাবি এক অবৈধ মাদ্রাসায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ৩০-৪০ জন শিশুকে রাখা হয়েছে। তাদের জন্যে পর্যাপ্ত খাবারও নেই সেখানে। আমার ভয় মানুষ পাচারের কোনও চক্রও হতে পারে।"
আরও পড়ুন: তৃণমূল ‘উদ্ধত’, ডেরেককে তোপ প্রহ্লাদ জোশীর
তিনি আরও বলেন, "যদি কোনও মাদ্রাসা, মাদ্রাসা বোর্ড এবং জেলা শিক্ষা দফতরের অনুমোদনপ্রাপ্ত না হয়, তাহলে সেখানে অবশ্যই তদন্ত চালানো উচিৎ।"
এর আগেও মাদ্রাসা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন ঊষা ঠাকুর। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে তিনি মন্তব্য করেন, সব জঙ্গি মাদ্রাসাতেই তৈরি হয়। এই মন্তব্যের পর বিস্তর সমালোচনার শিকার হতে হয় মন্ত্রীকে।
আরও পড়ুন: সম্প্রসারিত হল শিন্ডে মন্ত্রিসভা, কে কে হলেন মন্ত্রী?
মন্ত্রীর কথায়, "সব সন্ত্রাসবাদীরা মাদ্রাসা থেকেই তৈরি হয় আর জম্মু ও কাশ্মীরে গিয়ে সন্ত্রাসের কারখানা গড়ে তোলে। তাই দেশের উন্নতি করতে চাইলে স্বাভাবিক শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে মাদ্রাসাগুলিকে। সব কট্টরপন্থী ও সন্ত্রাসবাদীরা এই মাদ্রাসাতেই পড়াশোনা করে বড় হয়ে ওঠে।"
ঊষা ঠাকুর আরও বলেন, "আপনি যদি এ দেশের নাগরিক হন, তাহলে দেখবেন, সব কট্টরপন্থী ও সন্ত্রাসবাদীই এই মাদ্রাসার ছাত্র।" মাদ্রাসাগুলি শিশুদের জাতীয়তাবাদের শিক্ষা দিতে পারে না বলেও মত মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: ভারতীয় নৌসেনার শক্তি বাড়াল ‘রোমিও’, কী কী বিশেষত্ব রয়েছে এই হেলিকপ্টারের, জানেন কী?
ঊষা ঠাকুরের এই মন্তব্যের পর বেশ জলঘোলা হয়। বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ প্রদর্শনও করে মুসলিম সংগঠনগুলি। সেই বিতর্ক থিতিয়ে যেতেই ফের আবার বিতর্কে জড়ালেন মন্ত্রী।
+ There are no comments
Add yours