মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (President Election) প্রক্রিয়া। সোমবার দুই রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu) বনাম যশবন্ত সিন্হার (Yashwant Sinha) লড়াইয়ে দেশের প্রায় ৪,৮০০ জন সাংসদ ও বিধায়ক ভোট দেবেন। দ্রৌপদী এনডিএ-র প্রতিনিধি। বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের হিসাব অনুযায়ী, তিনি মোট ভোটের অন্তত ৬২ শতাংশ ভোট পেয়ে জিততে চলেছেন।
বিধানসভায় আজ সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলবে। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সাংসদ ও বিধায়ক মিলে মোট ভোটার ২৫৪। জেলাওয়াড়ি কয়েকটি ভাগ করে বিধায়কদের ভোট-পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কয়েক জন মন্ত্রীকে। লোকসভার সাংসদদের ক্ষেত্রে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভায় সুখেন্দু শেখর রায়কে দায়িত্ব দিয়েছে তৃণমূল।
বিরোধী দল বিজেপির হাতে রয়েছে ৭০ জন বিধায়ক এবং কার্যত ১৬ জন সাংসদ। বিজেপির তরফে রবিবারই তাঁদের নিউটাউনের একটি হোটেলে রাখা হয়। সেখান থেকেই এদিন সকালে বাসে করে বিধানসভায় আসেন বিজেপির বিধায়ক এবং সাংসদরা। তাঁদের প্রত্যেকের গলাতেই ছিল হলুদ রঙের উত্তরীয়। জানা গেল এগুলি আদিবাসী সংস্কৃতির প্রতীক। যেহেতু রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শাসক দল বিজেপির প্রার্থী দ্রৌপদী জনজাতির প্রতিনিধি। তাঁকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানাতে আদিবাসীদের ব্যবহৃত কাপড়ের উত্তরীয় গলায় পড়ে বিধানসভায় এসেছেন বিজেপির বিধায়কেরা। তাঁদের দাবি, আদিবাসী রীতি-নীতিকে সম্মান জানিয়ে তাঁরা এই পোশাক পরে এসেছেন। তাঁদের কথায়, দেশ প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি পেতে চলেছে। তাই এই সাজ। বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু ৭০ শতাংশ ভোট পেয়ে জিততে চলেছেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন।
আরও পড়ুন: শুরু হল রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ভোট দিলেন প্রধানমন্ত্রী
বিধানসভার বাইরে ভোটের লম্বা লাইনে হাজির তৃণমূলের মন্ত্রী, বিধায়ক এবং সাংসদরাও। ছিলেন ইন্দ্রনীল সেন, শশী পাঁজা, মহুয়া মৈত্ররা। কলকাতার মেয়র এবং রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দাবি, ক্রস ভোটিং হবে বাংলায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে। তিনি জানিয়েছেন, বিজেপির অনেকেই বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিন্হা ভোট দেবেন। ফিরহাদের ক্রস ভোটিং মন্তব্যের জবাব দেন বিজেপি নেত্রী এবং বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। তিনি বলেন, ‘‘ওঁরা যা-ই বলুন আমরা আমাদের ভোট দ্রৌপদী মুর্মুকেই দেব।’’ অগ্নিমিত্রার মতে,তৃণমূলের অনেকে বরং দ্রৌপদীকেই ভোট দিতে ইচ্ছুক। শেষ হাসি কে হাসবেন, তা জনাতে অবশ্য অপেক্ষা করতে হবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
+ There are no comments
Add yours