মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমান প্রজন্মের বেশীরভাগ কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের চাহিদা হলো স্বাধীনভাবে নিজের পায়ে দাঁড়ানো এবং পার্টটাইম উপার্জন করে নিজের হাতখরচ চালানো। একদিকে সরকারি চাকরি (Job) যেভাবে কমে আসছে ও তীব্র প্রতিযোগিতা বেড়েই চলেছে, সেখানে প্রাইভেট চাকরির সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। সেই জায়গায় কল সেন্টারে (Call centre) চাকরীকে অনেকেই পেশা হিসেবে মেনে নিয়েছে। করোনা মহামারীর সময়েও অনেকেই এই পেশাকে বেছে নিয়েছিলেন। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছিল যে, করোনার সময় অনেক কর্মীদের অফিস থেকে ছাটাই করে দেওয়া হয়। সেই লকডাউনের সময় কল সেন্টারের চাকরি ভরসা হয়ে উঠেছিল। আর এই চাকরি বাড়ি থেকে করারও সুবিধে আছে। কিছু অ্যাপ যেমন-Apna, WorkIndia, JobHai প্রায়ই চাকরির জন্য অফার দিয়ে থাকে। তবে এর যেমন ভালো দিক আছে তেমনি খারাপ দিকও আছে।
আরও পড়ুন: টেট চাকরি বিক্রি,আক্রান্ত সাংবাদিক
সুবিধা-
- কল সেন্টারে ঘন্টা অনুযায়ী বেতন দেওয়া হয়। পার্টটাইম শিফটে ৫-৬ ঘন্টার কাজ থাকে। অন্যদিকে ফুলটাইমে সেটা ৮-৯ ঘন্টা হয়। ওভারটাইম করলে তার জন্য অতিরিক্ত বেতন থাকে।
- কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই খুব সহজেই চাকরি পাওয়া যায়।
- অনেক সময়ে এসব পদের অভিজ্ঞতা বিভিন্ন চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রেও অনেক সাহায্য করে থাকে।
অসুবিধা-
তবে এই চাকরি করার ক্ষেত্রে মেয়েদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কারণ এতে সময়ের কোনো ঠিক থাকে না। অনেক সময় রাতেও ডিউটি করতে হয়। আর তাছাড়াও এই সমাজের মানুষের চোখে কল সেন্টারের চাকরি কোনো চাকরিই নয়। আর কল সেন্টারে চাকরির ক্ষেত্রে মেয়েদের অনেক কটূ কথার শিকারও হতে হয়।
আরও পড়ুন: আগামী দেড় বছরেই ১০ লক্ষ নতুন কেন্দ্রীয় চাকরি! টার্গেট বেঁধে দিলেন মোদি
কিন্তু একটি রিসার্চ করে দেখা যায়, কল সেন্টার গুলোতে প্রায় ৭১ শতাংশই মেয়েরা কাজ করেন। ফলে কল সেন্টারে বেশি মেয়েদের কেই নেওয়া হয়। কারণ মনে করা হয়, মেয়েরাই কোনো কথাকে ভালোমত বুঝিয়ে স্পষ্টভাবে বলতে পারে।
তবে অনেকের কাছেই এটি চাকরি মনে না হলেও এই কল সেন্টার সত্যিই অনেকের কাছে বড় কাজের সুযোগ তৈরি দিয়েছে এবং বর্তমানে সব ক্ষেত্রেই কল সেন্টারের প্রয়োজনীয়তাটা সবাই বুঝতে পারছে ও কল সেন্টারে তরুণদের জন্য অনেক সুযোগও বেড়ে গিয়েছে।
+ There are no comments
Add yours