মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দির করিডর প্রকল্পে (Jagannath temple corridor project) সায় দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এই প্রকল্পে আপত্তি জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের দায়ের করা জনস্বার্থের মামলাকে ‘ফালতু’ বলেও উল্লেখ করেছে শীর্ষ আদালত।
বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ এদিন জনস্বার্থ মামলা নিয়ে মন্তব্য করেছে, জনস্বার্থ রক্ষার নামে মামলা করে জনস্বার্থকেই জলাঞ্জলি দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে কোনও কোনও ক্ষেত্রে। প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগে দিল্লিতে এমনই আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি এমএন রামানাও। কথায় কথায় জনস্বার্থ মামলা করার প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন : ধাক্কা খেল মসজিদ কমিটি, জ্ঞানবাপী মামলায় বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
পুরীর জগন্নাথ মন্দির লাগোয়া এলাকায় সৌন্দর্যায়নে জগন্নাথ টেম্পল (Jagannath Temple) করিডর হাতে নিয়েছে ওড়িশা (Odisha) সরকার। গত বছর ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক (Naveen Patnaik) ওই প্রকল্পের শিলান্যাসও করেন।
৮০০ কোটি টাকার ওই প্রকল্প নিয়ে আপত্তি তোলে জগন্নাথ মন্দির লাগোয়া বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, মন্দির লাগোয়া এলাকায় খোঁড়াখুঁড়ি হলে ক্ষতি হবে আটশো বছরের পুরানো ওই মন্দিরের কাঠামোর। এই বক্তব্য তুলে ধরে নিম্ন আদালত ও ওড়িশা হাইকোর্টে বর্তমানে চলছে গুচ্ছ মামলা। সেই সব মামলায় আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (ASI) পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওড়িশা সরকার এই প্রকল্প নিয়ে এগোতে পারে।
আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানার জলাধার সুরক্ষিত করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
মাসকয়েক আগেই উদ্বোধন হয়েছে বারাণসীতে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kashi Viswanath Temple) করিডরের। উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। সেই সময়ই ওড়িশা সরকার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরেরও রূপ বদলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। তখন থেকেই মন্দিরের কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে শুরু হয়ে যায় চর্চা। আদালতে দায়ের হয় একের পর এক মামলা। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আটশো বছরের পুরানো মন্দির। তখনই সরকার জানিয়ে দিয়েছিল, মন্দিরের ক্ষতি হবে এমন কোনও প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়নি।
এদিন সরকারের সঙ্গে সহমত পোষণ করে সুপ্রিম কোর্টও জানিয়ে দেয়, তারা মনে করে জনস্বার্থেই এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে ওড়িশা সরকার। প্রসঙ্গত, করিডরের কাজ শেষ হলে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে শ্রীক্ষেত্র।
+ There are no comments
Add yours