মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানায় শিবলিঙ্গের (shivling) অস্তিত্ব মিলেছিল বলে দাবি হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠনের। এবার মসজিদ (mosque) চত্বরের দেওয়ালে ত্রিশূলের (trishul) মতো কোনও চিহ্ন খোদাই করা দেখা গিয়েছে। আদালতের নির্দেশে জ্ঞানবাপী মসজিদে (Gyanvapi mosque) সমীক্ষা করে এক প্রতিনিধি দল। করা হয় ভিডিওগ্রাফিও। সেই ভিডিওগ্রাফির ফুটেজ চলে এসেছে প্রকাশ্যে। যদিও মাধ্যম ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি।
জ্ঞানবাপী-কাশী বিশ্বনাথ মন্দির মামলা আদালতের বিচারাধীন। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের (Mughal emperor Aurangzeb) আমলে তাঁরই নির্দেশে বিশ্বেশ্বরের মন্দির ভেঙে গড়ে তোলা হয় জ্ঞানবাপী মসজিদ। সম্প্রতি পাঁচ মহিলা আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন জ্ঞানবাপী মসজিদের পশ্চিম দিকের দেওয়ালের কাছে শৃঙ্গার গৌরীর (Shringar Gauri) পুজো করার। এর পরেই আদালতের নির্দেশে মসজিদ চত্বরে হয় ভিডিওগ্রাফি। সেই ভিডিওগ্রাফির ফুটেজই প্রকাশ্যে এসেছে।
আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদে পাওয়া 'শিবলিঙ্গ' বিশ্বেশ্বরের! দাবি কাশীর প্রধান মহন্তর
চলতি মাসের প্রথম দিকে হিন্দু আবেদনকারীরা দাবি করেছিলেন, মসজিদ চত্বরের ওজুখানার জলাধারে একটি শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে। যদিও মসজিদ কমিটির দাবি, কাঠামোটি আদতে একটি পুরনো ফোয়ারা। হিন্দু আবেদনকারীদের তরফে এক মহিলা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মহিলাদের প্রবেশাধিকার না থাকায় আমাদের মসজিদের ভিতরে যেতে দেওয়া হয়নি। এখন আমরা প্রথমবার ভিডিওটি দেখছি। এটি একটি মন্দির। যদিও মুসলিম পক্ষের আইনজীবী রইস আহমেদের যুক্তি, মসজিদ চত্বরে কোনও দেবতা নেই।
আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ আগে মন্দিরই ছিল! বলছে ১৯৩৬ সালের নথি
তবে সমীক্ষার সময় তৈরি ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ওজুখানার জলাধারের জল কমানোর পর শিবলিঙ্গের আকৃতির মতো কিছু একটি দেখা যাচ্ছে। সেই আকৃতি দেখার পর ভিডিওটি করা হয়। সেটির মাপজোকও করা হয়। কমিশনের রিপোর্টে যা যা বলা হয়েছে, সেসবই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে। ভিডিওতে শিবলিঙ্গের ওপর সিমেন্ট দেখা যাচ্ছে, যা ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে, শিবলিঙ্গের ক্ষতি করার চেষ্টা হয়েছিল। শিবলিঙ্গের মাঝখানে ছিদ্র করার চেষ্টাও হয়েছে।
হিন্দুত্বাবাদীদের দাবি, তাঁদের আরাধ্য দেবতার ক্ষতি করার চেষ্টা হয়েছে। নন্দীর মূর্তির ঠিক সামনে মসজিদ এলাকায় টিনের শেডের নীচে রয়েছে জলাধার। এখানেই রয়েছে শিবলিঙ্গের আকৃতির মতো কিছু একটা। এখানেই ওজু করতেন নমাজ পড়তে আসা মুসলমানরা। একই সঙ্গে মসজিদের পশ্চিম দিকের দেওয়ালের ছবিও ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে। যার ওপর এমন অনেক কারুকার্য রয়েছে, যা দেখে দাবি করা হচ্ছে যে সেখানে মন্দির ছিল। ত্রিশূল ছাড়াও দেওয়ালে স্বস্তিকের চিহ্ন রয়েছে। এই ভিডিও প্রকাশ না করার জন্য মসজিদ কমিটির তরফে আবেদন জানানো হয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমের হাতে চলে এসেছে ভিডিওটি।
+ There are no comments
Add yours