মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমরনাথে (Amarnath) মেঘভাঙা বৃষ্টির (Cloudburst) সঙ্গে নেমে আসা আকস্মিক বিপর্যয়ের অভিঘাতের ধাক্কা লেগেছে বাংলায়ও। মৃত্যু হয়েছে এক বাঙালি ছাত্রীর (Student)। এমতাবস্থায় তুষারতীর্থে আটকে থাকা এ রাজ্যের তীর্থযাত্রীদের নিরাপদে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে তৎপর রাজ্য সরকার। অমরনাথে আটকে থাকা বাংলার বাসিন্দাদের জন্য চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন (Help Line)। জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও রাখা হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফে। দিল্লির রেসিডেন্ট কমিশনারকেও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
শুক্রবার বিকেলে আচমকাই মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে মৃত্যু হয় ১৬ জন পুণ্যার্থীর। জলের তোড়ে ভেসে যায় পুণ্যার্থীদের তাঁবু, লঙ্গরখানা। তুষারতীর্থ দর্শনে গিয়ে যে ক’জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছেন এক বাঙালি ছাত্রীও। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের বাসিন্দা। নাম বর্ষা মুহুরি। বারুইপুরের একটি কলেজে ভূগোলে এমএসসি-র ছাত্রী ছিলেন। জানা গিয়েছে, ছ’ জনের একটি দলের সঙ্গে অমরনাথ দর্শনে গিয়েছিলেন ওই ছাত্রীও। ১ জুলাই কলকাতা থেকে উত্তর ভারতের উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। প্রথমে পহেলগাঁওয়ের একটি জায়গায় ছিলেন। সেখান থেকে শুরু করেন অমরনাথ যাত্রা। তার পরেই মেঘভাঙা বৃষ্টির শিকার।
আরও পড়ুন : অমরনাথে মেঘভাঙা বৃষ্টি, ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা নিয়ে কী বললেন বেঁচে ফেরা যাত্রীরা?
অমরনাথে এখনও আটকে রয়েছেন রাজ্য়ের কয়েকজন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির ৬ জন, কলকাতার ৮ জন এবং পুরুলিয়ার ২ জন। কলকাতার এই আটজনের মধ্যে রয়েছেন বিপুল ঘোষ নামে একজন। তিনি কলকাতার লেকটাউনের দক্ষিণদাঁড়ির বাসিন্দা। ৫ জুলাই জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেসে চড়েন বিপুল। বছর পঁয়তাল্লিশের ওই ব্যক্তি পেশায় ব্যবসায়ী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেষ্টপুরের আরও সাতজন। শুক্রবার রাতে বিপুল বাড়িতে ফোন করে জানান, তাঁরা পহেলগাঁও বেস ক্যাম্পে রয়েছেন।
আরও পড়ুন : অমরনাথে মেঘভাঙা বৃষ্টি নয়, তবে কেন দুর্ঘটনা? কী বলছেন আবহ বিজ্ঞানীরা?
এদিকে, আটকে পড়া পুণ্যার্থীদের খবরাখবর পেতে হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে নবান্ন। নম্বরটি হল, ০৩৩-২২১৪৫২৬। নম্বর চালু থাকবে ২৪ ঘণ্টাই। প্রসঙ্গত, অমরনাথে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে ৪৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে খবর। নিখোঁজ পুণ্যার্থীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন মাউন্টেন রেসকিউ টিম ও অন্যান্য দলের সদস্যরা।
+ There are no comments
Add yours