মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মায়েদের তুলনা হয় না। সন্তানদের পকেটমানি দেওয়ার ক্ষেত্রেও বাবাদের থেকে মায়েরা বেশ কয়েক কদম এগিয়ে। বাচ্চাদের ডিজিটাল পকেটমানি পেতে সাহায্য করা স্টার্টআপ সংস্থা জুনিও-র সমীক্ষা এমনটাই জানাচ্ছে। সমীক্ষা আরও বলছে, সন্তানদের টাকা-পয়সার হিসেব, কীভাবে খরচ করা দরকার এমন সব ধারণা তৈরির পাশাপাশি তাদের আর্থিক ভিত্তি মজবুত করার শিক্ষাটা মায়েরাই দিয়ে থাকেন।
কলকাতা, বেঙ্গালুরু, মুম্বই, চেন্নাইয়ের এক লক্ষেরও বেশি বাবা-মায়েদের উপরে সমীক্ষা করে জুনিও-জানাচ্ছে, দেখা গিয়েছে যে বাবারা সন্তানদের গড়ে ১১০০ টাকা হাতখরচ দেন। যেখানে মায়েরা গড়ে ১৫০০ টাকা হাতখরচ দেন। সংস্থার এক কর্তা জানাচ্ছেন, টেক-স্যাভি যুগে বাচ্চাদের হিসেব করে খরচ করার অভ্যাস ও সঞ্চয়ের প্রবণতা তৈরি করা অপেক্ষাকৃত সহজ। এক্ষেত্রেও মায়েরা এগিয়ে। তাঁরাই মূলত বাচ্চাদের মধ্যে বুঝে শুনে খরচ করার মানসিকতা গড়ে তুলতে সাহায্য করেন। ওই কর্তার কথায়, ‘‘খারাপ সময়ের জন্য সঞ্চয় করা প্রয়োজন, এটা জীবনের একটা অন্যতম শিক্ষা। এবং এই শিক্ষায় সন্তানদের শিক্ষিত করে তোলার ক্ষেত্রে মায়েদের আলাদা ভূমিকা রয়েছে। তবে বাচ্চাদের অর্থনৈতিকভাবে সচেতন করে তোলা বাবা-মা, উভয় অভিভাবকেরই অন্যতম কর্তব্য। ডিজিটাল যুগে এই কাজটা করা তুনামূলকভাবে সহজ। শুধু একটু সচেতন হয়ে সেই দায়িত্বটুকু পালন করা দরকার।’’
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, মায়েরাই মূলত সন্তানদের খরচ সম্পর্কে হাতে-কলমে শিক্ষিত করে তোলেন। হাতখরচের বহুমাত্রিক ধরন সম্পর্কেও সচেতন করেন। মাসের বাজেট কত, কীভাবে তা খরচ করতে হবে, কীভাবে সঞ্চয় করতে হবে, কোন-কোন খাতে খরচ করা হচ্ছে তার হিসেব রাখা ইত্যাদি একজন মা তাঁর সন্তানকে ভাল করে বুঝিয়ে দেন। বাচ্চারা তাদের হাতখরচের বেশিরভাগ টাকাই খাবার, গাড়িভাড়া, মোবাইল রিচার্জের মতো খাতে খরচ করে থাকে।
বাচ্চারা কীভাবে তাদের পকেটমানি খরচ করে, তা যাচাইয়ের জন্য বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করা হয় সমীক্ষায়। দেখা যায়, বাচ্চাদের হাতখরচের বেশিরভাগ অংশই জোমাটো, ফোনপে, সুইগি, ব্লিনকিট, আমাজন, পেটিএমে খরচ হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours