Jammu & Kashmir: আসন বাড়ল জম্মু-কাশ্মীরে, ডিলিমিটেশন কমিশনের রিপোর্টে বিতর্ক

জম্মু-কাশ্মীরে সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ। বাড়ল আসন আসন। কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট জমা ডিলিমিটেশন কমিশনের। রিপোর্টে ক্ষুব্ধ ভূস্বর্গের রাজনৈতিক দলগুলি।
jammu
jammu

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হল জম্মু-কাশ্মীরে সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ। এক লপ্তে বাড়ল আসন সংখ্যাও। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ডিলিমিটেশন কমিশন। রিপোর্ট নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছে ভূস্বর্গের রাজনৈতিক দলগুলি।

অশান্তির জেরে প্রায় দু'দশক জম্মু-কাশ্মীরে বন্ধ ছিল সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ। ক্ষমতায় এসে অশান্ত ভূস্বর্গে শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী হয় মোদি সরকার। সংসদের উভয় কক্ষে বিল পাশ করে রদ করে দেওয়া হয় ৩৭০ ধারা। ভূস্বর্গকে পরিণত করা হয় দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। তবে জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা দিতে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নেয় কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। যার জেরে শুরু হয় সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ। কাজ শেষে এদিন কেন্দ্রকে সেই রিপোর্টই জমা দল ডিলিমিটেশন কমিশন।

ভূস্বর্গের কাশ্মীর এলাকাটি মুসলিম অধ্যুষিত। হিন্দু পণ্ডিতদের বিতাড়নের জেরে এই এলাকার প্রায় সব ভোটারই মুসলিম সম্প্রদায়ের। এর ঠিক উল্টো চিত্র জম্মুতে। এলাকাটি হিন্দু অধ্যুষিত। সীমানা পুনর্বিন্যাসের জেরে আসন সংখ্যা বেড়েছে জম্মুতে। সেখানে বেড়েছে ৬টি আসন। আর কাশ্মীরে বেড়েছে একটি আসন। সব মিলিয়ে আসন সংখ্যা বেড়েছে ৭টি। আগে ছিল ৮৩টি। আসন সংখ্যা বৃদ্ধির জেরে ভূস্বর্গের আসন বেড়ে হল ৯০টি। জম্মুর আসন সংখ্যা বাড়ায় খেপেছে কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলি।

যদিও ডিলিমিটেশন কমিশন জানিয়েছে, ২০১১ সালের জনসংখ্যার ভিত্তিতেই আসন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নয়া ব্যবস্থায় জম্মু-কাশ্মীরের যে পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে, তার প্রতিটিতে এবার ১৮টি করে বিধানসভা কেন্দ্র থাকবে। স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের দাবি মেনে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের নাম বদল হয়েছে। যেমন, তানমার্গের নাম হয়েছে গুলমার্গ, জুনিমার হয়েছে জাদিবাল, শোনওয়ারের নাম হয়েছে লালচক, কাঠুয়া উত্তরের নাম হয়েছে জাসরোটা।

ডিলিমিটেশন কমিশনের পেশ করা রিপোর্টে সন্তুষ্ট নয় কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলি। উপত্যকার বিভিন্ন দল নিয়ে গড়া গুপকর জোট জানিয়েছে, এর ফলে কাশ্মীরে যাঁরা সংখ্যাগুরু, তাঁরা রাজনৈতিক সংখ্যালঘুতে পরিণত হলেন। পুরোটাই করা হয়েছে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, যাবতীয় উদ্যোগ উপত্যকায় শান্তি ফেরাতেই করা হচ্ছে।   

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles