মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঠনপাঠন হয় না! রাজ্য সরকার অনুমোদিত বিদ্যালয়গুলির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সন্তানদের তাই সরকারি স্কুলে পাঠাতে নারাজ অভিভাবকরা! জানা যাচ্ছে রাজ্যে (West Bengal) বন্ধ হতে বসেছে প্রায় ৮,২০৭টি স্কুল। এর মধ্যে সিংহভাগই প্রাথমিক বিদ্যালয়। কারণ এই স্কুলগুলিতে ছাত্র সংখ্যা তিরিশেরও কম। সম্প্রতি ঘুষের বিনিময়ে অযোগ্যদের শিক্ষক পদে চাকরির ইস্যুতে সরগরম রাজ্য। অষ্টম শ্রেণির যোগ্যতায় শাসক নেতাদের বদান্যতায় শিক্ষক হয়েছেন এমন নজিরও উঠে এসেছে হাইকোর্টের সামনে। এই আবহেই এবার বন্ধ হতে চলেছে আট হাজারের বেশি স্কুল। বিভিন্ন মহলের বক্তব্য, অভিভাবকদের ভরসাই উঠে গেছে রাজ্য সরকারের শিক্ষানীতির উপর।
কবে নাগাদ বন্ধ হতে পারে স্কুলগুলি
শোনা যাচ্ছে, এবিষয়ে শিক্ষাদপ্তর কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকা না বের করলেও উচ্চমাধ্যমিক কিংবা পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরই কার্যকর হয়ে যাবে এই সিদ্ধান্ত। ইতিমধ্যে একটি তালিকা দেখা যাচ্ছে যেখানে তিরিশের নিচে ছাত্র সংখ্যার স্কুলগুলিকে মূলত চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে এমন স্কুলও নজরে পড়ছে যেখানে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা দেখা যাচ্ছে ১০ বা ১৫! খোদ কলকাতাতে এমন ৫৩১টি স্কুল রয়েছে যেখানে পড়ুয়ার সংখ্যা তিরিশেরও কম। তালিকায় দেখা যাচ্ছে পুরুলিয়া জেলায় ৬৯৪টি স্কুলের এই অবস্থা। আবার জঙ্গল ঘেরা ঝাড়গ্রাম জেলা আয়তনে ছোট হলেও তিরিশের নিচে পড়ুয়া রয়েছে জেলার ৪৭৯টি বিদ্যালয়ে। উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ সর্বত্র একই অবস্থা নজরে পড়ছে। বিদ্যালয়গুলির এমন করুণ অবস্থা দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি বলেছেন, পড়ুয়া না থাকলে শিক্ষক নিয়োগ করে কী লাভ! বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, শহরাঞ্চলের বিদ্যালয়গুলিতে অতিরিক্ত শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছে, অথচ গ্রামাঞ্চলগুলির বিদ্যালয়গুলি ধুঁকছে! তাই অতিরিক্ত শিক্ষকদের গ্রামের স্কুলে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: শান্তিপ্রসাদের 'ডেরা'য় মিলল দেড় কেজি সোনা, নগদ ৫০ লক্ষ, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ
+ There are no comments
Add yours