মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh), ঝাড়খণ্ড (Jharkhand), ওড়িশা (Odisha) এবং উত্তরাখণ্ড (Uttrakhand) সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে শনিবার এই রাজ্যগুলিতে বন্যা(Flood) এবং ভূমিধস (Landslides) হয়েছে। এই রাজ্যগুলো থেকে প্রায় ৩৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যেই উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। ত্রাণ বিলিও শুরু হয়েছে। উদ্ধার কার্যে হাত লাগিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
হিমাচল প্রদেশে একটি পরিবারের ৮ সদস্য সহ অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রাজ্যে বিভিন্ন জেলায় ভূমিধস এবং বন্যা হয়েছে ৷ আবার ১০ জন আহতও হয়েছেন। শুধুমাত্র মান্ডিতেই ভারী বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ১৩ জন মারা গেছে এবং ছয়জন নিখোঁজ, ডেপুটি কমিশনার অরিন্দম চৌধুরী জানান। নিখোঁজদের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
উত্তরাখণ্ডে শনিবার সকালেই মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও তার জেরে বন্যা হওয়ায় ৪ জনের মৃত্যু এবং ১০ জন নিখোঁজ হয়েছেন। বিভিন্ন নদীর সেতু ভেঙে বিপর্যস্ত এলাকা। সেতু ভেসে যাওয়ায় বেশি কয়েকটি এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। প্রশাসনের তরফে বেশ নদীতীরবর্তী একাধিক গ্রাম থেকে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হিমাচল প্রদেশ-উত্তরাখণ্ড, মৃত ২৫
অন্যদিকে প্রবল বৃষ্টির জেরে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে ওড়িশা। বন্যার কবলে পড়েছেন অন্তত ৫০০টি গ্রামের প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ। ওড়িশায় এখনও পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে ওড়িশার উত্তরের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টির জেরে আরও ক্ষতি হয়েছে। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ময়ূরভঞ্জ, কেন্দ্রপাড়া এবং বালাসোর সহ বেশ কয়েকটি জেলায় উদ্ধার ও ত্রাণ দল পাঠিয়েছেন। শনিবার প্লাবিত মহানদীর প্রবল স্রোতে একটি নৌকা ভেসে গেলে সেখান থেকে ৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আবার প্রবল বৃষ্টিতে ঝাড়খণ্ডের বেশ কয়েকটি জেলায় বহু গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে এবং নিচু এলাকা জলের তলায় চলে গিয়েছে। পশ্চিম সিংভূমে বাড়ির মাটির দেওয়াল পড়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। আবার নলকারী নদীর জলে দুজন ভেসে গিয়েছেন।
জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলার ত্রিকুটা পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত বিখ্যাত মাতা বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরের যাত্রা (Vaishno Devi Yatra) রবিবার সকালে ফের শুরু হল৷ রাতভর ভারী বৃষ্টির কারণে সাময়িকভাবে স্থগিত ছিল তীর্থযাত্রা। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ২৪ ঘন্টার মধ্যে দ্বিতীয়বারের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল যাত্রা।
+ There are no comments
Add yours